রামপুরহাটে ট্রেনে দুঃসাহসিক ডাকাতি, মালদহে যাত্রী-বিক্ষোভ
মালদহ, ১৭ সেপ্টেম্বর : চলন্ত ট্রেন দুঃসাহসিক ডাকাতি। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুঠ করা হল কলকাতা-বিহারগামী যোগবাণী এক্সপ্রেসে। শুক্রবার রাতে রামপুরহাট স্টেশনের কাছে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। শনিবার ভোররাতে ট্রেনটি মালদহ টাউন স্টেশনে দাঁড়ানোর পরই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন যাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে আরপিএফ।
কলকাতা থেকে বিহারের উদ্দেশে যাচ্ছিল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। শুক্রবার রাতে যোগবাণী এক্সপ্রেস রামপুরহাট স্টেশন ছাড়ার পরেই এস-২ কামরায় ওঠে কয়েকজন দুষ্কৃতী। ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে তারা যাত্রীদের টাকাপয়সা, মূল্যবান জিনিস লুঠ করে নেয়। আরপিএফ-এর দেখা না মেলায় যাত্রীরাই রুখে দাঁড়ান। তাঁদের সম্মিলিত প্রতিবাদে পিছপা হন দুষ্কৃতীরা। এক দুষ্কৃতীকে ধরেও ফেলেন যাত্রীরা। মারধরও করা হয় তাকে।
ভোর ৪.৪০ মিনিট নাগাদ যোগবাণী এক্সপ্রেস মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছলে ওই দুষ্কৃতীকে জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিট পরীক্ষকের সহযোগিতায় ট্রেনে ওঠে দুষ্কৃতীরা। আর এই অভিযোগকে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্টেশন চত্বর। মালদহ টাউন স্টেশনে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হন যাত্রীরা। এরই মাঝে পালিয়ে যান ওই টিকিট পরীক্ষক। তখন পরিস্থিতি আরও সাঙ্ঘাতিক রূপ নেয়। যাত্রীদের ছত্রভঙ্গ করতে আরপিএফ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে।
রেলের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তাঁদের কাছেই যাত্রীরা অভিযোগ করেন, টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে ডাকাতদল কী করে উঠল সংরক্ষিত কামরায়। নিশ্চয়ই ওই টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে কোনও যোগসাজোশ রয়েছে দুষ্কৃতীদলের। তারপর সাহায্যের জন্য একজন আরপিএফকেও পাওয়া যায়নি। কেন নিরাপত্তার এই ফসকো গেরো ? এর জবাব দিতে হবে। চেন টেনেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। ওই টিকিট পরীক্ষকেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।
রেল কর্তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন- এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে হয়। ঘণ্টাদেড়েক পরে যোগবাণী এক্সপ্রেস বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই ঘটনায় নতুন করে ফের রেলের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল।