রেলের দুই শাখার ভুল বোঝাবুঝিতে পুরুলিয়ায় থামল না ট্রেন, হয়রানির শিকার অভিবাসী শ্রমিকেরা
রেলের দুই শাখার ভুল বোঝাবুঝিতে পুরুলিয়ায় থামল না ট্রেন, হয়রানির শিকার অভিবাসী শ্রমিকেরা
রেলের দফতরের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এবার হয়রানির শিকার হতে হল শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের। রেলের দুটি শাখার মধ্যে যথাযথ বোঝাপোড়ার অভাবে ব্যাঙ্গালুরু থেকে বাংলায় আসার পথে পুরুলিয়ার একাধিক যাত্রীকে হয়রানির শিকার হতে হয় বলে জানা যাচ্ছে।
গন্তব্য পুরুনিয়া না নিউ জলপাইগুড়ি তা নিয়ে চলে ধন্দ
সূত্রের খবর, এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনটি মঙ্গলবার ব্যাঙ্গালুরু স্টেশন থেকে বাংলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এটির নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ট্রেশনে পৌঁছানোর কথা ছিল। এদিকে বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ পশ্চিম রেলওয়ের আধিকারিকরা ট্রেনটির পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রার কথা জানায়। সেই মতো যাত্রীদের টিকিটও দেওয়া হয়। অন্যদিকে কলকাতার পূর্ব রেল কর্মকর্তারা জানান এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনটি কর্ণাটকে আটকে পড়া অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে ফিরিয়ে আনছে এবং এর শেষ গন্তব্য ঠিক করা ছিল নিউ জলপাইগুড়ি।
আসানসোল, রামপুরহাট, দুর্গাপুরে নামেন অনেক যাত্রী
ভুল বোঝাবুঝির কথা কানে আসতেই অনেক যাত্রীই বুঝতে পারেন ট্রেনটি পুরুলিয়াতে থামবে না। এরপরেই বৃহস্পতিবার ৫৭ জন যাত্রী প্রথমে দুর্গাপুরে এই শ্রমিক স্পেশাল থেকে নেমে যান। পরে ২৪ জন আসানসোলে নামেন তারপরেই সামনে আসে ঘটনা। এই দুটোই ট্রেনের পূর্বনির্ধারিত স্টপ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। পরবর্তীতে পূর্বনির্ধারিত না হলেও ওইদিন বিকেলে বীরভূমের রামপুরহাটে দাঁড়া ট্রেন। সেখানও বেশ কিছু যাত্রী নেমে যান।
পুরুলিয়া দাডা়বে না ট্রেন, আগে থেকে জানতেন না যাত্রীরা
এদিকে কলকাতার রেলওয়ে আধিকারিকেরা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্মকর্তাদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে, এবং একইসাথে বেঙ্গালুরুতে থেকে ট্রেনে আসা যাত্রীদের এনজেপির টিকিটও দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করে। যাত্রীদের অবশ্য দাবি পুরুলিয়াতে ট্রেন থামবে না এ কথা তাদের আগে জানানো হয়নি। যদিও রেলের দাবি রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলির যাত্রাপথ ঠিক করা হচ্ছে।
দক্ষিণ পশ্চিম ও পূর্ব রেলের বাদানুবাদ
দক্ষিণ পশ্চিম রেলওয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কৃষ্ণ রেড্ডির কথায়, "পুরুলিয়া পর্যন্তই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর জন্য আমাদের কাছে নির্দেশ ছিল। সুতরাং, স্বাভাবিকভাবেই পুরুলিয়া পর্যন্তই টিকিট দেওয়া হয়।" অন্যদিকে রেড্ডির কথার বিরোধীতা করে কলকাতার একজন রেলওয়ে কর্মকর্তা বলেন, এনজেপি পর্যন্ত ট্রেনটির যাত্রাপথ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তারপেই পুরুলিয়ায় থামার ব্যাপারটি পরবর্তীতে পরিবর্তন করা হয়।" এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, "যাত্রীদের আসানসোল ও দুর্গাপুর স্টেশনে নামার কথা ছিল না। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে বর্তমানে কোভিড প্রোটোকল মেনেই তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।"
সোনার দাম চড়চড়িয়ে বাড়ছে! ১৫ মে কলকাতায় দর কোথায় গিয়ে ঠেকল