লাইনের ধারে ভরা বাজারে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল ট্রেন, তারপর যা ঘটল
ঘোষণা ছাড়াই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং ডিভিশনের চম্পাহাটি স্টেশনে ট্রেন ঢুকে পড়ল কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। আচমকা ট্রেন এসে পড়ায় সবাই লাইন থেকে সরে যেতে পারেননি।
ট্রেন লাইনের ধারে বসেছিল বাজার। আচমকাই ঘোষণা ছাড়া হুড়মুড়িয়ে লাইনে ঢুকে পড়ল ট্রেন। তড়িঘড়ি করেও সবাই লাইন থেকে সরতে পারল না ট্রেন আসার আগে। সাত সকালেই ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল তিনজনের। রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি স্টেশনে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু'জনের। আরও একজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা সবাই হাসপাতালে ভর্তি।[আরও পড়ুন:কম ভাড়ায় আসছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ইকোনমি কোচ ]
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পিন্টু মণ্ডল ও মামণি মণ্ডল মাছ ব্যবসায়ী। এদের বাড়ি কেএলসি থানার তাড়দহতে। মৃত আর একজনের নাম জানা যায়নি। তিনিও মাছ ব্যবসায়ী বলে জানা গিয়েছে। চম্পাহাটির রেল গেট সংলগ্ন রেলের জমিতে দীর্ঘদিন ধরেই মাছের পাইকারি বাজার বসছে। সেই বাজারে ভোর থকেই মাছ ব্যবসায়ীরা ভিড় জমান। এই বাজার থেকে মাছ কিনে নিয়ে গিয়েই খুচরো বাজারে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ঘোষণা ছাড়াই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং ডিভিশনের এই স্টেশনে কী করে ট্রেন ঢুকে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। ঘোষণা হলে আগে থেকে ব্যবসায়ীরা সাবধান হয়ে যান। কিন্তু এদিন ঘোষণা ছাড়াই ট্রেন এসে পড়ায় সবাই লাইন থেকে সরে যেতে পারেনি। এই ঘটনায় রেলকর্মীদের দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠে পড়েছে। বিশেষ করে এই রেল গেটে দীর্ঘদিন ধরে যে বাজার বসছে, বহু মানুষের আনাগোনা হয় সেই বাজারে, তা রেলকর্মীদেরও অজানা নয়।
খবর পেয়েই সোনারপুর জিআরপি ঘটনাস্থলে যায়। জিআরপি-র তরফে মৃতদেহ উদ্ধার করা ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ। রেলের তরফেও পৃথক তদন্ত করা হবে। ট্রেন আসার আগে ঘোষণা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেলের তরফে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠে পড়েছে, দিনের পর দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন রেল লাইনের ধারে বাজার বসবে? কেন বাজারের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হবে না?