ছয় হাতির মৃত্যুর প্রতিবাদে রেল অবরোধ জলপাইগুড়িতে

প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গের চাপড়ামারি জঙ্গলে গুয়াহাটিগামী কবিতীর্থ এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মারা যায় ছ'টি হাতি। গুরুতর জখম হয় আরও পাঁচটি হাতি। সকাল থেকেই রেল ও বন দফতরের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ শবগুলি পড়েছিল রেললাইনে। ভিড় বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় অবরোধ। তাতে শামিল হন স্থানীয় পরিবেশবিদরাও। অবরোধকারী জনতা দাবি জানায়, ডুয়ার্সের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া রেলপথে সাবধানে ট্রেন চালাতে হবে। ২০-২৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। হাতির পাল দেখতে পেলে বারবার হর্ন দিতে হবে, যাতে তারা সরে দাঁড়ায়। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
এর আগে ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অনুরূপভাবে রেললাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় সাতটি হাতির মৃত্য়ু হয়েছিল। তখন দায়সারা দুঃখ প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হয়েছিল রেল। এবারও রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী শুধু দুঃখ প্রকাশ করে হাত ঝেড়ে ফেলেছেন। আগের ঘটনা থেকে রেল যে কোনও শিক্ষা নেয়নি, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল।