কী যেন নড়ে উঠল স্কুল ব্যাগে! নয়া ফন্দি এঁটেও শেষ রক্ষা হল না, বন্দি পাতা ফাঁদে
পাচারের নয়া ফন্দি এঁটেও সফল হল না পাচারকারীরা। শেষমেশ জলপাইগুড়ি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল সমস্ত ফন্দি। উদ্ধার হল মস্তবড় প্যাঙ্গোলিন। উদ্ধার হল গাঁজাও।
পাচারের নয়া ফন্দি এঁটেও সফল হল না পাচারকারীরা। শেষমেশ জলপাইগুড়ি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল সমস্ত ফন্দি। উদ্ধার হল মস্তবড় প্যাঙ্গোলিন। উদ্ধার হল গাঁজাও। স্কুল-ব্যাগে করে পাচার করতে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হল আস্ত প্যাঙ্গোলিন। বাজেয়াপ্ত করা হল গাঁজাও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে।
বন দফতরের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, গাড়িতে করে কিছু পাচার করা হবে। কিন্তু কী পাচার করা হবে, তা নিয়ে সম্যক ধারণা ছিল না। পাচার রুখতে তৎপর হয়েছিল বন দফতর। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশকেও। সেইমতো পাতা হয়েছিল ফাঁদ। কিন্তু একের পর এক গাড়ি আটকানোর পরও কী পাচার হচ্ছে বুঝতে পারছিলেন না বন দফতরের কর্মী বা পুলিশ অফিসাররা।
হঠাৎই একটি গাড়িতে স্কুল ব্যাগে কী যেন নড়ে উঠল! সন্দেহ হতেই খোলা হল স্কুল ব্যাগ। দেখা গেল স্কুল-ব্যাগের ভিতরে একটা আস্ত প্যাঙ্গোলিন। ধরা পড়তেই গাড়ির দরজা খুলে হাওয়া হয়ে যায় যাত্রীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় গাড়িটি।
গাড়িটি থেকে উদ্ধার হওয়া প্যাঙ্গোলিনটি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া ৩৪ কিলোগ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়। জেরা করে জানা গিয়েছে অসম থেকে নেপালে পাচার করা হচ্ছিল ওই প্যাঙ্গোলিন ও গাঁজা। সবার চোখ এড়াতেই স্কুল ব্যাগে করে পাচার করা হচ্ছিল প্যাঙ্গোলিনটি।