আজ থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ, সঙ্কট কলকাতা বন্দরে
হাওড়া, ২৪ সেপ্টেম্বর : ব্যস্ত দিনে যানজট এড়াতে বিদ্যাসাগর সেতুতে পণ্যবাহী যান চলাচলে আজ থেকেই রাশ টানছে পুলিশ। আর তাতেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। এর ফলে বন্দরের পণ্য পরিবহণে সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে ব্যবসায়ী মহলের ধারণা। বড়সড় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে। মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে তারা। মুখ্যমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। ট্রাক মালিক সংগঠনগুলি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে।
আগেই এয়ারপোর্টে পণ্যবাহী যান চলাচলে রাশ টেনেছিল রাজ্য। এবার পণ্যবাহী যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ কলকাতা বন্দর এলাকায়। শনিবার থেকেই দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজে পণ্যবাহী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভারী পণ্যবাহী যান চলাচল করতে পারবে না দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে। মাঝারি ও হাল্কা পণ্যবাহী যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। হাল্কা ও মাঝারি পণ্যবাহী যানের ক্ষেত্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা এবং সন্ধে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচল বন্ধ রাখতে হবে বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছে, কলকাতা পুলিশের এই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব পড়বে বন্দরের পণ্য পরিবহণে। কারণ বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে যে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি গুলি যাতায়াত করে তার অধিকাংশই বন্দরের। দিনে বন্ধ থাকার পর রাতে এক সঙ্গে সমস্ত গাড়ি চলে এলে বন্দর এলাকায় যানজট বাড়বে।
রাতে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তারপর আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় রক্ষা করাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি।