সোনারপুরে ডাকাতিতে বাংলাদেশ-যোগ, বিক্ষোভের আঁচ থানা থেকে রেলে
থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সোনার দোকানে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে দফায় দফায় বিক্ষোভ-অবরোধে সামিল হলেন ব্যবসায়ীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৩ এপ্রিল : থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সোনার দোকানে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে দফায় দফায় বিক্ষোভ-অবরোধে সামিল হলেন ব্যবসায়ীরা। থানা ঘেরাও থেকে শুরু করে পথ অবরোধ ও রেল অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা।
থানার অদূরেই কী করে অবাধে দুষ্কৃতীরা অবাধে হামলা চালাল, গুলি ও বোমা ছুড়ে পালিয়ে গেল- সেই প্রশ্ন তোলা হয়। ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন- এই অভিযোগ তুলে দফায় দফায় অবরোধ শুরু হয় সোনারপুরে।
এদিন ব্যবসায়ীরা প্রথমে সোনারপুর থানা ঘেরাও করেন। তারপর সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায় এবং সবশেষে ট্রেন লাইনেও। রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে রেল অবরোধও করেন তাঁরা। সোনারপুর মেন রোড, রাজপুর, কামালগাজি, গঙ্গাজোয়ারায় বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। অবিলম্বে ডাকাতদের গ্রেফতার করার দাবি তোলান তাঁরা। চপার দিয়ে কুপিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন, তারপর গুলি ও বোমাবৃষ্টি করে অটোয় করে পালিয়ে যাওয়া- এজন্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাকেই প্রবলভাবে দায়ী করা হয়।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ ও কলকাতা গোয়েন্দাদের তদন্ত উঠে এসেছেন আট জনের এই ডাকাত দলের সাতজনই বাংলাদেশি। এপার বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে ডাকাতি করে তারা পালিয়ে যেত ওপার বাংলায়। এই দুষ্কৃর্ম চালানোর জন্য রাজ্যের কিছু মানুষ টিপারের কাজ করতেন। আশ্রয় ও প্রশ্রয় দুই মিলত এপার বাংলার মানুষের, যার জেরে খুব সহজেই দুষ্কৃর্ম ঘটিয়ে তারা পালিয়ে যেত সমর্থ হত।
ধৃত তিনজনকে জেরা করে বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। শীঘ্রই পুরো গ্যাংকে জালে পোরা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। এই গ্যাংই হরিদেবপুর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃত বাংলাদেশি ডাকাত লাবলু সর্দারের টিআই পারেড হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা করবে পুলিশ।