স্বাভাবিক ছন্দের পথে পাহাড়, সকালে খুলেছে বেশ কিছু দোকান
রবিবার সকাল থেকে দার্জিলিং-এর দোকান-বাজার খুলছে। শনিবার ১৯ টি সংগঠন একসঙ্গে বসে দোকান-বাজার খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। কাজে বাধা দিলে প্রতিরোধের হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা
রবিবার সকাল থেকে দার্জিলিং-এর দোকান-বাজার খুলছে। সব না হলেও, বেশিরভাগ দোকান খুলেছে। শনিবার ১৯ টি সংগঠন একসঙ্গে বসে দোকান-বাজার খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। কাজে বাধা দিলে প্রতিরোধের হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বনধের ১০১ দিনের মাথায় ব্যবসায়ীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। শনিবার ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির বৈঠকে গুরুংপন্থী কিছু ব্যবসায়ী দোকান খোলার বিষয়ে বাধা দেন। তারা গুরুং-এর নির্দেশের কথাও বলেন। অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকান খোলার পক্ষে থাকায় সেই আপত্তি বেশিক্ষণ টেকেনি। সূত্রের খবর, বিনয় তামাং-এর তৎপরতাতেই ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির দোকান খোলার সিদ্ধান্ত। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন থাকায় দিনের আলো থাকতেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হবে দোকান।
এদিকে, সোমবার থেকে জিটিএ-র বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের দায়িত্ব নিচ্ছেন পদাধিকারীরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা রাজ্য সরকারের মনোনয়নের চিঠি পেয়ে গিয়েছেন।
২০ সেপ্টেম্বর নবান্ন থেকে পাহাড়ে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গঠনের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মোর্চার বিদ্রোহী নেচা বিনয় তামাংকে। ভাইস চেয়ারম্যান করা হয় মোর্চার অপর নেতা অনীত থাপাকে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, জিটিএ থেকে সবাই পদত্যাগ না করলে এই বোর্ড গঠনের প্রয়োজন হত না। পাহাড়ে উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্যই এই বোর্ড গঠন করা হল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তেই চাপে পড়ে যান বিমল গুরুং। বিশ্বের যেখানেই বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা যাবেন সেখানেই বিক্ষোভ দেখানোর জন্য গোর্খা জনগোষ্ঠীর কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে মোর্চার তিন নেতা গ্রেফতার হওয়ায় চাপ আরও বাড়ে গুরুং-এর ওপর। এই মুহুর্তে দলের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয়ে মোর্চার গুরুংপন্থীরাও। দলের কর্মসূচি ঘোষণা নিয়েও অপারগ তাঁরা।