করোনায় ভীড় রুখতে ব্যবস্থা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির! কলকাতায় দোকান খোলায় জোড়বিজোড় নীতি অনুসরণ
করোনা সংক্রমণে ভীড় রুখতে ব্যবস্থা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির! দোকান খোলায় জোড়বিজোড় নীতি অনুসরণ
শহরে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যার জেরে কলকাতা মোটর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে অটোমোবাইল স্পেয়ার পার্টসের দোকানগুলিকে শুক্রবার থেকে ১০ দিন বন্ধ রাখার আবেদন করেছে। এছাড়াও ৬০ টির বেশি ব্যবসায়িক সংস্থা ভিড় কমাতে সপ্তাহে তিনদিন দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে দোকানদাররা সপ্তাহের জোড়বিজোড় সংখ্যাকে অনুসরণ করছেন।
বেশ কিছু জায়গায় দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
কলকাতা মোটর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রীতা মিত্র জানিয়েছেন, তাঁরা তাদের ৬৩০ জন সদস্যকে অনুরোধ করেছেন, আপাতত ৭ দিন দোকান বন্ধ রাখতে। পরিস্থিতি পর্যালোচবা করে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার শহরের প্রিন্সেপ স্ট্রিট, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটে অটোমোবাইল স্পেয়ার পার্টসের দোকানগুলি বন্ধ ছিল। সংগঠনের নেত্রী জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের অনেকেই কন্টেইনমেন্ট জোনে থাকেবন। অন্যদিকে রাজ্য সরকার কোনও কোনও জায়গায় লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে। সেই জন্যই ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের স্বার্থে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত।
সপ্তাহে ৩ দিন দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত
শহরের অন্য ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির বেশিরভাগই সপ্তাহে ৩ দিন দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত একসপ্তাগের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। তারা বলছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের মতো করে চেষ্টা করছে। তারাও এই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
সোম, বুধ, শুক্রবার অনুসরণ
ব্যবসায়ীদের একটা অংশ সোম, বুধ ও শুক্রবার দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ভীড় কমাতে। অন্যদিকে অপর অংশের ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার দোকান খোলা রাখতে চলেছেন। স্ট্র্যান্ড রোড, নেতাজি সুভাষ রোড এবং ক্যানিং স্ট্রিটের প্রায় ৭০০ দোকানদার সপ্তাহে তিনদিন দোকান খোলা রাখার নীতি অনুসরণ করছেন বলে জানিয়েছেন কলকাতা চেম্বার অপ ট্রেডের প্রেসিডেন্ট সাবির হাজরত।
কোনও কোনও জায়গায় আবার ৪ দিন খোলা
কোনও কোনও জায়গায় আবার মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার টানা চারদিন দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ চলবে উত্তরের ৫ জেলায়! দক্ষিণবঙ্গের জন্য কোন পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের, একনজরে