ফের নিশানায় মমতার সরকার! উন্নয়ন নিয়ে তোপ ত্বহা সিদ্দিকির
ফের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দিকে তোপ দাগলেন সেখানকার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।
ফের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দিকে তোপ দাগলেন সেখানকার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভুল খবর দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এসম্পর্কে পর্যটনমন্ত্রী জানান, তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হবে।
তৃণমূলের শাসনকালে ফুরফুরা শরিফকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উন্নয়নের জন্য নানা কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির অভিযোগ, উন্নয়নের নামে ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র রাস্তার ধারে ত্রিফলা আলো দেওয়া হয়েছে। যদিও বেশিরভাগ আলোই জ্বলে না। ফুরফুরা শরিফের মুসাফির থানা নিয়েও অভিযোগ করেন তিনি। ফুরফুরা শরিফ থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে যে মুসাফির খানা তৈরি হয়েছে তা মানুষের থাকার অযোগ্য বলে অভিযোগ করেছেন ত্বহা সিদ্দিকি।
বছরের তিনটি দিনে ফুরফুরা শরিফে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষের আগমন হয় দাবি করে, ত্বহা সিদ্দিকির অভিযোগ, সরকার এরজন্য আঠারো লক্ষ টাকা খরচ করে। অন্যদিকে গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় ৫ লক্ষ পূণ্যার্থীর জন্য সত্তর কোটি টাকা খরচ করা হয়।
এদিন হুগলি জেলায় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত স্থানগুলি পরিদর্শন করেন দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা মতো এগোনো হচ্ছে। তবে ত্বহা সিদ্দিকির অভিযোগ তিনি যথাস্থানে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দিকে তোপ দেগেছিলেন ত্বহা। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী তিনি বলেছিলেন, সংখ্যালঘু মুসলিমরা সরকারের হয়ে যত লড়াই করছে, এই সরকারের তরফ থেকে সংখ্যালঘুরা ততই বঞ্চিত হচ্ছে। চাকরি থেকে শিক্ষা সর্বত্রই একই চিত্র। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন হয়েছে বলে যতটা প্রচার করছেন, বাস্তবে ততটা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।