অষ্টমীকে কি টেক্কা দেবে নবমী? উৎসবের মেজাজে স্নান করে আরও সুন্দরী তিলোত্তমা!
কলকাতা, ২২ অক্মটোবর : হাঅষ্টমীর রাতে যে শহরের রাস্তায় আছড়ে পড়বে জনসুনামি তা তো আন্দাজ ছিলই পুলিশ প্রসাশন থেকে সাধারণ মানুষ সবারই। কিন্তু তা বলে উত্তর থেকে দক্ষিণ, কিংবা ধরুণ মধ্য কলকাতা, ট্রামে বাসে মোট্রোয় এই হারে কাতারে কাতারে মানুষ কব্জা জমাবে তা কিন্তু আগে থেকে ঠিক ঠাহর করা যায়নি।
অষ্টমীর সকালের ভিড়টা ব্যখ্যা করতে গেলে 'মোটামুটি' বলাটাই উপযুক্ত হবে। কারণ সকালের দিকটা এদিন বেশ হাল্কাই ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে লাইন আসছে, যাচ্ছে। হাল্কা বলেই হয়তো ভিড়টা কোথাও যেন দাঁড়াচ্ছিল না। কিন্তু সেই চিত্রটাই একেবারে কিনা পাল্টে গেলে সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে। শুধু কী মণ্ডপে ভিড়, মেট্রো স্টেশনে টিকিট কাটতে কাটতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন টিকিট কর্মী, এক একটা করে লোক বেরিয়ে যাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু টিকিট কাটতে দাঁড়িয়ে থাকা লাইনের দৈর্ধ্য যে কিছুতেই কম হচ্ছে না। বাসেও কনডাক্টর জায়গা ছেড়ে নরার জো পাচ্ছেন না।
উত্তরের চালতা বাগান, বিধান সরণীর পুজো হয়ে ভিড়টা গিয়ে পড়েছে কলেজ স্কোয়ারে। ওদিকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বেড়িয়ে পুরো ভিড়টাই ঢুকছে লেবুতলা সন্তোষমিত্র স্কোয়ারের পুজোয়। দক্ষিণের ভিড়টা যেমন আাবার মুদিয়ালি থেকে ত্রিধারা হয়ে চলে গিয়েছে ম্যডক্স স্কোয়ারের দিকে।
তবে ভিড় সামলাতে তৎ্পর ছিল পুলিশ প্রশাসন। যানজট বা ভিড় সত্ত্বেও কোথাও ভিড়টা জটলা হয়ে থমকে থাকেনি। সুশৃঙ্খল ভাবেই এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে।
অষ্টমীর পাশাপাশি আজ, নবমীতেও ভিড়ের চাপ বেশ থাকবে। কারণ আক্ষরিক অর্থে আজই পুজোর শেষ দিন। গত বছরের মতো এবছরও নবমী-দশমী পড়েছে একই দিনে, আজ। ফলে আজকে গেলেই সেই তো আূবার একটা বছর অপেক্ষা, নতুন প্রস্তুতি। তাই শেষ পর্বের শেষ লগ্নে উৎসবের স্বাদটা একেবারে উসুল করে নেওয়া চাই।
কালই যে মা ফিরে যাবেন। দুঃখের পাশে একটাই যা শ্বান্তনা "আসছে বছর আবার হবে।"