করোনা বিধিনিষেধ জারির প্রথম দিন, কী অবস্থা শহরের রাস্তাঘাটের জেনে নিন এক নজরে
করোনা বিধিনিষেধ জারির প্রথম দিন, কী অবস্থা শহরের রাস্তাঘাটের জেনে নিন এক নজরে
রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধ কড়া করার প্রথম দিনই উল্টো ছবি শহরে। লোকাল ট্রেন গুলিতে উপচে পড়া ভিড়। গাদাগাদি করে ট্রেনে চাপছেন মানুষ। শহরের বাসগুলিতেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। মানুষ ভিড় করে উঠছেন বাসে। তবে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন যাওয়ার যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সন্ধে ৭টার পর ট্রেন চলবে না বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে যাত্রী মহলে।
ট্রেনে পরিচিত ভিড়
গতকালই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে লোকাল ট্রেন ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে। এবং সন্ধে সাতটার পর আর লোকাল ট্রেন চলবে না। কিন্তু সপ্তাহের এবং বছরের প্রথন কর্মব্যস্ত দিনে দেখা গেল সেই পুরনো ছবি। শহরে আসা লোকালট্রেনগুলিতে গাদাগাদি ভিড়। ঠাসাঠাসিকরেই মানুষ চেপেছেন ট্রেনে। অধিকাংশ অফিসযাত্রীরাই ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা সীমিত করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ এবং তাঁরা অভিযোগ করছেন কেন লোকাল ট্রেনের উপর কড়াকড়ি করা হল। এতে আম জনতার সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।
বাসে ৫০ শতাংশ যাত্রীর নিয়ম অধরা
বাসেও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশিকা অমান্য করেই সকাল থেকে অফিস যাত্রীরা ভিড় করছেন বাসে। বছরের প্রথম কর্মব্যস্ত দিন। কেউ দেরি করতে রাজি নন। কাজেই ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাসের সফর খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না বিধিনিষেধ। তবে এখন রাস্তায় অনেকের মাস্ক দেখা যাচ্ছে। যাঁরা মাস্ক পরছেন না তাঁদের যাত্রীরাই সচেতন করে দিচ্ছেন।
মেট্রো চলাচলের সময় এগোল
মেট্রোতেও করোনা বিধি কড়া করা হয়েছে। আজ থেকে কেবল স্মার্ট কার্ড নিয়েই যাত্রীরা চড়তে পারবেন মেট্রোয়। টোকেন দেওয়া হবে না। কাজেই মেট্রোতে তেমন ঠাসাঠাসি ভিড়ের সম্ভাবনা নেই। সকাল থেকে মেট্রো চলাচলের উপরেও নজরদারি চলছে। যাত্রীদের সচেতন করতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা বারবার সচেতন করে চলেছেন যাত্রীদের।
অসন্তুষ্ট আম জনতা
রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান-বাজার শপিং মল খোলা। চলছে মিটিং মিছিল। এদিকে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। লোকাল ট্রেনে নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আম জনতা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষের রুিট রুজিতে প্রভাব পড়বে এই বিধিতে। কারণ সন্ধে ৭টার মধ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে অফিসযাত্রীদের উপরেই প্রভাব পড়বে সবচেয়ে বেশি। স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়ায় পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।