Durga Puja 2021: নিয়ম মেনেই উমা ফিরছেন কৈলাশে! গঙ্গার দূষণ রুখতে ঘাটে অভিনব ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার
চারদিনের পুজো শেষ। আজ দশমী। উমা ফিরবেন কৈলাশে। চারপাশ জুড়ে বিষাদের সুর। ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্যান্ডেলে শুরু হয়ে গিয়েছে সিঁদুর খেলা। দুপুরের পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিসর্জন। কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত ঘাটে বিসর্জন চলবে। সুষ্ঠ ভ
চারদিনের পুজো শেষ। আজ দশমী। উমা ফিরবেন কৈলাশে। চারপাশ জুড়ে বিষাদের সুর। ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্যান্ডেলে শুরু হয়ে গিয়েছে সিঁদুর খেলা। দুপুরের পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিসর্জন। কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত ঘাটে বিসর্জন চলবে। সুষ্ঠ ভাবে যাতে বিসর্জন পর্ব হয় সেদিকে বিশেষ নজর কলকাতা পুরসভার।
গত কয়েকদিন ধরেই শহরের ঘাটগুলিতে জোরদার প্রস্তুতি ছিল পুরসভার। শুধু পুরসভা নয়, কলকাতা পুলিশের তরফেও জোরদার প্রস্তুতি। দুপুরের পর থেকেই কলকাতার বহু রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর কলকাতার গঙ্গায় সব মিলিয়ে হাজার চারেক প্রতিমার নিরঞ্জন হয়। কলকাতায় গঙ্গার সবক'টি ঘাটের মধ্যে বেশি বিসর্জন হয় জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই তিনটি ঘাটে মোট চারটি ক্রেন থাকবে।
বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গার জলে ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকবে এবং পাড়েও একটি ক্রেন থাকবে। নিমতলা এবং জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে। জলে প্রতিমা পড়লেই সেই ক্রেন দিয়ে কাঠামো টেনে তোলা হবে। অন্যদিকে ফুল থেকে অন্যান্য সরঞ্জান ঘাটের ধারে ফেলতে হবে। তবে এবার দধি ঘাটে বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে কলকাতা পুরসভার তরফে।
জেটির উপরে প্রতিমাকে ধুয়ে ফেলার ব্যবস্থা রাখা থাকছে। প্রতিমাতে ব্যবহৃত রঙে গঙ্গা দূষণের সম্ভাবনা থাকে। যা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলেন পরিবেশবিদরা। তবে এবার সেদিকে তাকিয়ে কলকাতা পুরসভার তরফে এই ব্যবস্থা থাকছে। গঙ্গার জলে ধুয়ে যাওয়া প্রতিমার জল সরাসরি গঙ্গাতে পড়বে না। সেটিকে শোধন করে ফের ফেলা হবে গঙ্গার জলে।
অন্যদিকে গত কয়েকদিন আগেই বিসর্জন সংক্রান্ত বিধি জারি করে নবান্ন। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কোনও শোভাযাত্রা কিংবা জমায়েতও করা যাবে না। মণ্ডপ থেকে সরাসরি প্রতিমা আনা হবে গঙ্গার ঘাটে। শুধুমাত্র ৩ জনকে ঘট বিসর্জনের জন্য গঙ্গায় নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকেই প্রতিটি ঘাটে মোতায়েন থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি পদমর্যাদার অফিসাররা। পুরো প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখা ড্রোনের মাধ্যমে। এছাড়াও রিভার পুলিশকেও তৈরি রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলাগুলিতেও বাড়তি নজর থাকছে প্রশাসনের। সেখানের ঘাটগুলিতেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গাতে যাতে কাঠামো না পড়ে থাকে সেজন্যে সতর্ক থাকার নির্দেশ।