গান গাইতে গাইতে ইলেকট্রিক আয়রনের তার জড়িয়ে মাকে শ্বাসরোধ করে খুন!
গান গাইতে গাইতে ইলেকট্রিক আয়রনের তার জড়িয়ে মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল ছেলে। পরক্ষণেই শাবল নিয়ে প্রতিবেশী কিশোরীর মাথায় আঘাত করে বসল সে।
বাঁকুড়া, ২২ ফেব্রুয়ারি : গান গাইতে গাইতে ইলেকট্রিক আয়রনের তার জড়িয়ে মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল ছেলে। পরক্ষণেই শাবল নিয়ে প্রতিবেশী কিশোরীর মাথায় আঘাত করে বসল সে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বাঁকুড়ার ইন্দাসে। এই দুই অস্বাভাবিক ঘটনার পরই অভিযুক্ত যুবক বাডডিতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তাকে গ্রেফতার করে।
কেন যুবকের এই অস্বাভাবিক আচরণ? স্পষ্ট নয় তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের কাছে। অভিযুক্তের বাবার দাবি, তাঁর ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। মানসিক বিকার থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধেয় মা মিতা মণ্ডলের সঙ্গে বসেছিল বিক্রম। আপন মনেই গান গাইছিল সে। আচমকাই পাশে পড়ে থাকা ইলেকট্রিক আয়রনের তার গলায় পেঁচিয়ে ধরে মায়ের। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মিতাদেবীর। এরপর শাবল নিয়ে পাশের বাড়িতে ঢুকে বছর ১২-র এক কিশোরীর মাথায় আঘাত করে।
ওই কিশোরী আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইন্দাসের বাগিচাবাঁদ এলাকার বাসিন্দা বিক্রম। সে স্থানীয় ডি এড কলেজের ছাত্র। বহুদিন ধরেই মানসিক রোগে ভুছিল সে। সেই কারণে বাড়িতে রেখেই মানসিক রোগের চিকিৎসা হচ্ছিল। সে যে আচমকাই এরকম ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে তা বুঝে উঠতে পারেননি মিতাদেবীও। বিক্রমের বাবা জানান, এক মুহূর্তও মাকে ছাড়া চলত না বিক্রমের। তবু কেন এই ঘটনা?
পুলিশ খতিয়ে দেখছে কী কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটাল? কেনই বা বিক্রম মা ও পাশের বাড়ির মেয়েটির উপরই এই আক্রমণ চালাল? এটি তার মানসিক বিকারেরই ফল, নাকি অন্য কোনও ঘটনা এক মধ্য লুকিয়ে রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।