সৎবাবার হাত থেকে নাতনিদের বাঁচাতে জেলে দিদিমা
সৎ বাবার হাত থেকে নাতনিদের বাঁচাতে জেল খাটছে দিদিমা। মা'কে জেল থেকে ছাড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ছোট মেয়ে। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার মামালকারির আইনজীবী জানান, দক্ষিণ 24 পরগণার জয়নগরের বাসিন্দা কমলা হালদারের দুই মেয়ে মেয়ে মমতা ও রুমা। একটি ঘটনায় বিয়ের 10 বছরের মধ্যে কমলা দেবীর বড়ো মেয়ে মমতার স্বামী নিখোঁজ হোওয়ার পর সে ভিনধর্মীয় এক ব্যাক্তিকে বিয়ে করে বাবলি খান নাম নিয়ে হরিয়ানায় চলে যায়। তার পর থেকেই কমলাদেবী তাঁর দুই নাতনিকে নিজের কাছে রেখে। দুই নাতনীই বেহালার এক মিশনারিতে পড়াশুনা করেছিল।
আইনজীবী জানান, বড়ো নাতনি বাস্কেটবল জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পায়। কিন্তু কমলা দেবীর কাছে তাদের জন্মের সংশপত্র মায়ের কাছে থাকায় সেটা জমা দিতে পারছিলেন না। গতবছর ডিসেম্বর মাসে দুই নাতনিকে নিয়ে তাঁর হরিয়ানায় মমতার বাড়ি যায়। গতবছর কমলা দেবী দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তাঁর বড়ো মেয়ে ও তার স্বামী তাঁর বড়ো নাতনিকে অপহরণ করে।
তিনি কোনও রকমে ছোট নাতনিকে নিয়ে ফিরে এসেছেন। কিন্তু পুলিশ এই অভিযোগকে গুরুত্ব না দেওয়ায় গত বছরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বড়ো নাতনিকে তার দিদিমার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বারুইপুরের পুলিশ সুপার কে নির্দেশ দেয়। বারুইপুর পুলিশ সুপার আদালতের নির্দেশ মতো বড়ো নাতনিকে উদ্ধার করে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলকালীন হরিয়ানা পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে মমতা ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করে।সেই মামলায় হরিয়ানা আদালত সাক্ষীর জন্য কমলা দেবীকে দুবার সমন পাঠানোর সত্বেও কমলা দেবী হাজিরা না দেওয়ায় হরিয়ানা পুলিশ কমলা দেবীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
আদালত তার সাক্ষ্য গ্রহণ করলেও জামিনদারের অভাবে তার জামিন না হওয়ায় গত চার মাস ধরে তিনি সেখানের জেলে রয়েছে। এরপর মা এর কথা জানতে পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ছোট মেয়ে রুমা।