জলসঙ্কট মেটাতে অভিনব উদ্যোগ কালিয়াগঞ্জ কলেজে, অনুমোদন রাজ্য সরকারের
অনুপ্রেরণায় জল ধরো জল ভরো প্রকল্পর সার্থক করতে বৃষ্টির জল ধরে রাখতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল।জলসঙ্কট মেটাতে অভিনব উদ্যোগ কালিয়াগঞ্জ কলেজে, অনুমোদন রাজ্য সরকারের
জলের সঙ্কট মেটাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় জল ধরো জল ভরো প্রকল্পর সার্থক করতে বৃষ্টির জল ধরে রাখতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল। এবং এই জল ধরে রাখার জন্য ভূগর্ভস্থ জলের অপচয় রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করল কালিয়াগঞ্জ কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মাটির নীচে বড় আকারের জলাধার তৈরি হল। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ কলেজের চত্বরেই বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে রাখার জন্য মাটির নীচে জলাধার তৈরি করা হয়েছে। ফলে একদিকে পরিশোধিত করে যেমন পানীয় জল হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে, অন্য দিকে কলেজের অন্যান্য কাজেও এই জল ব্যবহার করা হবে।
ধীরে ধীরে ভূগর্ভস্থ জল কমে যাচ্ছে। তীব্র জল সংকটের আশঙ্কায় গোটা দেশ। সেই সময় এমন একটি উদ্যোগ জলের অপচয় রুখতে ও বৃষ্টির জলকে ধরে রেখে তা কাজে লাগানোর জন্য প্রকল্প তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিয়েছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ কলেজর কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য সরকার সেই প্রকল্পের অনুমোদন দিলে মাটির নীচে জলাধারের মাধ্যমে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করার জন্য একটি প্রোজেক্ট নির্মাণ করা হয়। রাজ্য সরকারের ৮০ শতাংশ এবং কালিয়াগঞ্জ কলেজ কর্তৃপক্ষের ২০ শতাংশ টাকা ব্যয়ে কলেজ ক্যাম্পাসেই মাটির নীচে নির্মাণ করা হয় এক বিশাল জলাধার।
কালিয়াগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ পীযূষ কুমার দাস বলেন, উত্তরবঙ্গের মধ্যে সর্বপ্রথম তাঁরাই এই ধরনের একটি প্রোজেক্ট তৈরি করেছেন। বৃষ্টির জলকে ধরে রেখে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য এই প্রোজেক্ট জলের সংকট অনেকটা মেটাবে বলে তাদের ধারণা।
কালিয়াগঞ্জ কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সন্তু চক্রবর্তী বলেন, পৃথিবী জুড়ে যেভাবে জলের সংকট দেখা দিচ্ছে তাতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। তাই বৃষ্টির জলকে ধরে রেখে একদিকে যেমন পানীয় জলের চাহিদা মেটানো যাবে পাশাপাশি কলেজের অন্যান্য প্রয়োজনেও জলের ব্যবহার হবে। আগামী দিনে জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ গুলোতেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী থেকে ছাত্রছাত্রীরা।