স্বামীর কাছ থেকে মুক্তিপণ হাতাতে প্রেমিকের সঙ্গে ফন্দি এঁটে অপহরণের গল্প ফাঁদে গৃহবধূ
স্বামীর কাছ থেকে মুক্তিপণ হাতাতে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে ফন্দি এঁটেই অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল কলেজ পড়ুয়া গৃহবধূ। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে ভেস্তে গেল তার সমস্ত পরিকল্পনা।
উত্তর ২৪ পরগনা, ১৪ ফেব্রুয়ারি : স্বামীর কাছ থেকে মুক্তিপণ হাতাতে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে ফন্দি এঁটেই অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল কলেজ পড়ুয়া গৃহবধূ। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে ভেস্তে গেল তার সমস্ত পরিকল্পনা। ধরা পড়ে প্রেমিক যুগলের স্থান হল শ্রীঘরে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি কলেজ গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল অনামিকা সমাদ্দার নামে ওই গৃহবধূ। রাত হয়ে যাওয়ার পরও অনামিকা বাড়ি না ফেরায় স্বামী চিন্তায় পড়ে যান। স্ত্রীর সঙ্গে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করেও কোনও হদিশ পাননি স্বামী। বাধ্য হয়েই হাসনাবাদ থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয় শ্বশুরবাড়ির তরফে।
এরপর রাতেই এক অজানা মোবাইল থেকে মুক্তিপণ চেয়ে একটি এসএমএস আসে। ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় এসএমএস করে। শিয়ালদহ স্টেশনে ওই টাকা আনতে বলা হয় অনামিকার স্বামীকে। তবেই অনামিকাকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পুলিশকে জানালে অনামিকাকে খুন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় অপহরণকারী।
তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে পুলিশকে জানিয়েই মুক্তিপণের টোপ সাজানো হয়। এরই মধ্য রবিবার রাতে ধর্মতলা থেকে উদ্ধার করা হয় অনামিকাকে। তাকে আদালতে তোলা হয় সোমবার। সেখানে গোপন জবানবন্দিতে অনামিকা স্বীকার করে তাকে অপহরণ করা হয়নি মুক্তিপণ হাতাতেই সঞ্জীব মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে ফন্দি করে অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল সে।
এরপর এদিন গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীব মণ্ডল নামে অভিযুক্ত যুবককে। পুলিশ জেনেছে, সঞ্জীবের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। কলকাতায় কলেজে পড়তে এসেই দু'জনের আলাপ। কলেজ পড়ুয়া ওই গৃহবধূ প্রেমিক সঞ্জীবের সঙ্গে ছক কষেই অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল। স্বামীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে তাদের পালানোর পরিকল্পনা ছিল।