আইনি জটিলতা এড়াতে মাতৃ আশ্রয়-এর ‘হোম’ বাদ, এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের
হোমকাণ্ডে আরও বিপাকে তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী কল্পনা বর্মন। কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে এসে মাতৃ আশ্রয় হোমের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।
কোচবিহার, ৯ মার্চ : হোমকাণ্ডে আরও বিপাকে তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী কল্পনা বর্মন। কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে এসে মাতৃ আশ্রয় হোমের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল। অভিযোগ, আইনি জটিলতা এড়াতে রেজিস্ট্রেশন থেকে হোম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে পরকিল্পনা করে। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা উচিত বলে জানিয়ে গেলেন কমিশনের আধিকাইরক যশবন্ত জৈন।
কোচবিহারের হোমে শিশুদের নিয়ে বিতর্কে শাসক দেলর যোগ পায় প্রশাসন। এই ঘটনায় অভিযোগের তির শীতলকুচির বিধায়কের স্ত্রী-র দিকে। তিনি হোম থেকে শিশুদের নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। শিশুদের অন্য হোম স্থানান্তরের নির্দেশ পেয়ে হোমে গিয়ে প্রশাসন দেখে কোনও শিশু নেই। সবাইকে হোম থেকে নিয়ে চলে গিয়েছেন বিধায়ক-পত্নী।
এই অভিযোগ পেয়েই ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআর-এর সদস্যরা তদন্ত আসেন। পরিদর্শন পর্বে বিস্তর গাফিলতির হদিশ পান তাঁরা। এমনকী আইনি গলদও তাঁদের চোখে এড়িয়ে যায়নি। হোম পরিদর্শন করে ক্ষুব্ধ কমিশনের আধিকারিক যশবন্ত জৈন জানান, এই হোমের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে এফআইআরও করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের নির্দেশ পেয়ে কোচবিহারের মাতৃ আশ্রয় হোম থেকে শিশুদের উদ্ধার করতে যায় জেলা প্রশাসন। কিন্তু শিশুদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন। সাতদিন পরই হোমে এল এলসিপিসিআর-এর দল। দু'য়ে মিলে ঘোর বিপাকে কল্পনাদেবী। চাপে তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মনও।