বিজেপি পার্টি অফিসে ঢোকার মুখে ‘মুকুল রায় গো ব্যাক’ স্লোগান! কালো পতাকায় ক্ষোভ
জলপাইগুড়ির ডিবিসি রোডের বিজেপি পার্টি অফিসে যাচ্ছিলেন মুকুল রায়। তখনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে মুকুল রায়ের নামে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলা হয়।
ফের মুকুল রায় পড়লেন তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে। এবার জলপাইগুড়িতে মুকুল রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ডিবিসি রোডের বিজেপি পার্টি অফিসে যাচ্ছিলেন মুকুল রায়। তখনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে মুকুল রায়ের নামে 'গো ব্যাক' স্লোগান তোলা হয়।
‘গো ব্যাক’ ধ্বনি, উত্তাল
মুকুল রায়ের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থক ও তাঁর অনুগামীরা। মুকুল রায়ের পথ আটাকতেই তাঁরা প্রতিবাদ করেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘গো ব্যাক' ধ্বনির প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি সমর্থকরা। ফলে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তে। দু-পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। বেধে যায় হাতাহাতিও।
কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ
বিজেপি কার্যালয়ে ঢোকার মুখে মুকুল রায়কে কালো পতাকা দেখানো হয়। আবার পার্টি অফিস থেকে বের হওয়ার সময়ও টিএমসিপির ছাত্রীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মুকুল রায়কে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, টিএমসিপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিনহার নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। টিএমসিপি-বিজেপির এই বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
মমতাকে বিদায়-বার্তা
মুকুল রায় বলেন, এইসব দুষ্কৃতীদের পুষে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভেবেছেন এইভাবে বাংলার ক্ষমতা ধরে রাখবেন। কিন্তু ইতিহাস বলে এভাবে কোনওদিন ক্ষমতা ধরে রাখা যায়নি। বরং পতনের আগে এই প্রবণতা দেখা যায়। এখন সেই রোগ ধরেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ওদের বিদায় আসন্ন।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে লড়বেন না, সুষমার পর ঘোষণা আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ]
তৃণমূলের শেষ দিন আসন্ন
তিনি আরও বলেন, যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই তৃণমূলের লোকজন এসে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক যাত্রা হবে। বাংলায় দুষ্কৃতী রাজ খতম করতে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি। তৃণমূলের শেষ দিন আসন্ন প্রায়।
[আরও পড়ুন:ভগবান রাম মনুবাদী, হনুমান দলিত! যোগীর পর বিজেপি সাংসদের ব্যাখ্যায় নয়া বিতর্ক ]