তৃণমূলকে শেষ করবে তৃণমূলীরাই! পিকে-কে এনেও বাঁচার রাস্তা পাচ্ছেন না মমতা
তৃণমূলকে শেষ করবে তৃণমূলীরাই! পিকে-কে এনেও বাঁচার রাস্তা পাচ্ছেন না মমতা
তৃণমূল কংগ্রেস কি পারবে টানা তৃতীয়বার জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে? নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে? ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের লক্ষ্যপূর্ণ বাধার পাহাড় বিজেপি নয়, তৃণমূলের শত্রু হয়ে উঠেছেন তৃণমূলীরাই। একুশের আগে তৃণমূলে যে ভাঙন রেখা দেখা দিয়েছে, সেখান থেকে রেহাই পাওয়ার পথ পাচ্ছে না তৃণমূল।
অনেক নেতা লাইন দিয়ে আছেন তৃণমূলে
বঙ্গ বিজেপি যেমন আদতে তৃণমূলীদের দল হয়ে গিয়েছে, তেমনই এখনও অনেক নেতা লাইন দিয়ে আছে তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য। বিজেপি এমন দাবি বহুদিন ধরেই করে আসছে। একুশের ভোট যত সামনে আসছে, ততই তৃণমূলের নেতারা বিগড়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহী হয়ে উঠছে।
শুভেন্দু অধিকারীও যদি বিজেপিতে যোগ দেন
শুধু নিচুতলার নেতা-নেত্রীরা নন, বিধায়ক-মন্ত্রীরাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন। ইতিমধ্যেই কোচবিহার দক্ষিণের মিহির গোস্বামী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এখন আরও অনেকে লাইন দিয়ে রয়েছেন তৃণমূল ছাড়ার জন্য। শুভেন্দু অধিকারীরও বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা প্রবল।
তৃণমূল ভাঙন রুখতে না পারলে পতন অবশ্যম্ভাবী
শুভেন্দু অধিকারী যদি তৃণমূল ছাড়েন বা বিজেপিতে যোগ দেন তবে তৃণমূলে আরও বড় ভাঙন আসন্ন। সেক্ষেত্রে সেই ভাঙন যদি তৃণমূল না রুখতে পারে তবে পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে যাবে। তৃণমূলের নেতারাই বিজেপিতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বনাশ করে দেবে। ২০২১-এ তৃণমূলকে দিয়েই তৃণমূল বধ করে ছাড়বে বিজেপি।
২০১৯-এর পর ২০২১-এও বিজেপির ঝটকা
বিজেপি ২০১৯-এও পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূলকে ভাঙিয়ে যুদ্ধ জয়ের, সেই লক্ষ্যে তাঁরা ১০০ শতাংশ সফল হয়। ২০২১-এও সেই একই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলকে ভাঙিয়েই তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে খাঁড়া করতে চাইছে। শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতাকে ভাঙিয়ে সেই কাজ করতে পারে কি না বিজেপি, সেটাই এখন দেখার।
তৃণমূলকে হারানোর রাস্তা পরিষ্কার বিজেপিতে
মুকুল রায় বিজেপিতে গিয়ে তৃণমূল ভাঙার কাজ করছিলেন। উপরতলা থেকে নিচুতলায় তিনি তৃণমূলকে ভেঙে শক্তিশালী করে তুলেছেন বিজেপিকে। মুকুল অনুগামীরা প্রায় সবাই এখন বিজেপিতে। এবার শুভেন্দুকে দিয়ে যদি তাঁর অনুগামীদের টেনে নিয়ে আসা যায়, তবে তৃণমূলকে হারানোর রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
শুভেন্দু দলবল নিয়েই তৃণমূল ছাড়ছেন স্পষ্ট
মুকুল রায় কিছুদিন আগেই বলেছেন, শীলভদ্র দত্ত-সহ অনেকেই শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছেন। শুভেন্দু দল ছাড়লে তাঁরাও ভিড়বেন। মুকুলের এই বার্তার পর পরিষ্কার শুভেন্দু দলবল নিয়েই তৃণমূল ছাড়ছেন। তাঁরা সবাই বিজেপিতে এলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশান্ত কিশোরকে দিয়েও কিছু করতে পারবে না।
ভাঙনের কারণ হয়ে উঠেছেন খোদ পিকেই
উল্লেখ্য, ২০১৯-এ বিজেপির কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর প্রশান্ত কিশোরকে দলের ভোট কৌশলী করে এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাময়িকভাবে তৃণমূলে ভাঙন রুখে দিয়েছিলেন। উল্টে বিজেপিকেও ভেঙেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার তিনিও ভাঙন রুখতে ব্যর্থ। বরং তিনিই ভাঙনের কারণ হয়ে উঠেছেন।
গেরুয়ার পথেই শুভেন্দু! পিসি-ভাইপো-পিকে জোটকে চ্যালেঞ্জ 'দাদার অনুগামী' কণিষ্ক পাণ্ডার