মমতার বিরুদ্ধে স্লোগান তৃণমূলে! লোকসভা নির্বাচনের আগে তীব্র অস্বস্তি গোষ্ঠীকোন্দলে
জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের সভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠল। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদর্শন করে অনুপস্থিত থাকলেন পাঁচ তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদও।
জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের সভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠল। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদর্শন করে অনুপস্থিত থাকলেন পাঁচ তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদও। একইসঙ্গে জেলা পরিষদের সভাপতি পদে আবদুল জলিল আহমেদের নাম বাদ পড়ায় তাঁর অনুগামীরা এদিন স্লোগান তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই।
মমতার বিরুদ্ধে স্লোগানের মাশুল
তৃণমূলে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলার মাশুলও গুনতে হল সঙ্গে সঙ্গে। আবদুল জলিল আহমেদের ঘনিষ্ঠ রশিদুল হককে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। এদিন স্থায়ী সমিতি গঠনের সভায় তৃণমূলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রদর্শন করেন জলিল অনুগামীরা। তাঁদের বিক্ষোভে নড়চড়ে বসে রাজ্য নেতৃত্বও। চটজলদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
গোষ্ঠীকোন্দল কোচবিহার তৃণমূলে
কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে সাংসদ পার্থপ্রতীম রায়ের কোন্দল বহুচর্চিত। একদা রবীন্দ্রনাথ ঘনিষ্ঠ সাংসদ এখন রবীন্দ্রনাথের বিপরীত পথ দিয়ে চলেন। তিনি অনুপস্থিত থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে একসঙ্গে পাঁ বিধায়ক গরহাজির থাকেন বৈঠকে।
জেলা সভাপতি একাই দল চালান
অভিযোগ, জেলা সভাপতি নিজের মতো করে দল চালাচ্ছেন। সেখানে অন্যান্য কারও কথার কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তাহলে আমরা যাব কেন। বিধায়করা বলেন, আমরা কি শুধু হাত তোলার জন্যই যাব? নাকি যাওয়া উচিত? বিধায়কদের এই দাবির সঙ্গে সহমত সাসংদও। তাই, তিনিও গরহাজির বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিধায়ক-সাংসদের ক্ষোভ
তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা জানান, তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হয়নি স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে। অথচ স্থায়ী সমিতিতে বিধায়করাও থাকেন। তাহলে কেন এই দ্বিচারিতা, প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক-সাংসদরা। পুরো ঘটনাতেই অভিযোগের তির জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দিকে।
[আরও পড়ুন: ২০১৯-এ ৪২-এর লক্ষ্যে ৪২ দল গড়লেন মমতা, বিজেপির মোকবিলায় তৈরি তৃণমূল]
রবীন্দ্রনাথ উবাচ
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতির নাম যেমন রাজ্য নেতৃত্ব স্থির করে দেয়, তেমনই কর্মসমিতি ও স্থায়ী সমিতি তৈরি করে দলের জেলা সভাপতি। রবীন্দ্রনাথবাবুর এই যুক্তি অবশ্য মানতে চাননি বিক্ষুব্ধ বিধায়ক-সাংসদরা।
[আরও পড়ুন:মহাবিপাকে বিজেপি, ভোটের মুখে দল ছাড়লেন খোদ মন্ত্রীই! লাইনে কি আরও ৫০]
গরহাজির যাঁরা
এদিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন সাংসদ পার্থপ্রতীম রায়, বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, বিধায়ক উদয়ন গুহ, ফজল করিম মিয়া, অর্ঘ্য রায় প্রধান, মিহির গোস্বামী। এই চিত্রতেই স্পষ্ট কোচবিহার জেলা তৃণমূল এখন দুভাগে বিভক্ত। লোকসভা নির্বাচনের আগে, তা যথেষ্ট অস্বস্তির তৃণমূলের কাছে, অস্বস্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও।
[আরও পড়ুন:ভোটের আগেই জোর ধাক্কা বিজেপিতে, দল ছাড়ার হিড়িক প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই ]