দ্বিতীয় দফার ভোটের মুখে বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলে, দল ছেড়ে বিজেপিতে প্রভাবশালী নেতা সহ শতাধিক কর্মী
রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে ভোট গ্রহণ। গোটা দেশের নজর এখন এই কেন্দ্রের দিকে। একদিকে নন্দীগ্রাম সহ বাকি কেন্দ্রগুলিতে ভোট গ্রহণের শেষ প্রস্তুতি চলছে।
রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে ভোট গ্রহণ। গোটা দেশের নজর এখন এই কেন্দ্রের দিকে। একদিকে নন্দীগ্রাম সহ বাকি কেন্দ্রগুলিতে ভোট গ্রহণের শেষ প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে শাসকদল তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন। শাসকদল তৃণমূলে ভাঙন ধরালেন অর্জুন সিং। ভোটের মুখে তৃণমূলে ভাঙন বড়সড় ধাক্কা হিসাবেই মনে করা হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, যারা দলবদল করেছেন তাঁদের সঙ্গে মানুষের কোনও জনসংযোগ নেই বলেই দাবি।
বিজেপিতে যোগ দিলেন শতাধিক মানুষ
সামনেই বারাকপুর বিধানসভায় ভোট! আর তার আগে এই বিধানসভায় তৃণমূলে ভাঙন। বিজেপিতে যোগ দিলেন বারাকপুর পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামী-সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ তৃণমূল ছেড়ে আসা প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং তাঁর স্বামীর। দলবদলের পরেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সুধা। তিনি জানিয়েছেন, মানুষের উন্নয়ন কতটা হচ্ছে জানি না, তবে দলের একাংশের উন্নয়ন হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের! শুধু তাই নয়, উচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। সুধা ঘোষ ও তাঁর স্বামী প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রদীপ ঘোষের দাবি, ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাসের স্বেচ্ছাচারিতার জন্যই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত।
ভাঙনের আরও বাকি!
শাসকদল তৃণমূলে ভাঙন এখনও নাকি কিছুই হয়! বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, আগামীদিনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সংখ্যা বাড়বে। অর্থাৎ ভোটের মুখে বারাকপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলে আরও ভাঙন ধরবে বলে ইঙ্গিত বিজেপি সাংসদের। অর্থাৎ সংগঠনে ভোটের মুখে যে বড়সড় ধাক্কা দিতে চলেছেন অর্জুন তা কার্যত স্পষ্ট। অন্যদিকে, অর্জুন সিং জানিয়েছেন, পরিবর্তনের পরিবর্তন হতে চলেছে বাংলায়। ২০০ বেশি আসন পেয়ে বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি, স্পষ্ট করে দিলেন বারাকপুর বিজেপি সাংসদ।
দলত্যাগীদের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ নেই!
ভোটের মুখে বড়সড় ধাক্কা। বারাকপুর পুরসভার প্রশাসকের দাবি, বহুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন দলত্যাগীরা। তাই দল ছাড়লেও ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। এমনকি, ভোটেও তাঁদের দল ছেড়ে যাওয়ার কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি প্রশাসকের। মানুষ তৃণমূলের সগেই রয়েছে। একই সঙ্গে উন্নয়নের নিরিখে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবে বলে দাবি শাসকদলের।
পরিবর্তন হলে মুখ্যমন্ত্রী কে
বিজেপি কি দিলীপ ঘোষকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ভাবছেন এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও দিলীপ এবার কোনও কেন্দ্রেই প্রার্থী হননি। তবে মেদিনীপুরে সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে দিলীপের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ দলতে এই স্তরে নিয়ে আসার জন্য কয়েকমাস রাতে ঘুমোয়নি। তাঁর মতো নেতাকে পেয়ে দল গর্বিত। তারপরেই আরও দিলীপ ঘোষের মুখ্যমন্ত্রী হওয়াল জল্পনা পারদ চড়েছিল। মঙ্গলবার দিলীপের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে প্রতিক্রিয়া আরও জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে। দিলীপ বলেেছন যারা প্রার্থী হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হতে হবে এমন কোনও কথা নেই।