বিজেপি মুখপাত্রের পথ আটকে ‘হামলা’ তৃণমূলের! অসমের নাগরিকপঞ্জির রেশ বাংলায়
নদিয়ার সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে।
নদিয়ার সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। কালো পতাকা দেখানোহয় তাঁকে। তবে এখানেই শেষ নয় বিক্ষোভের। শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি আটকে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনায় নিন্দায় মুখর হয়েছে রাজনৈতিক মহল।
নদিয়ার চাকদহে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের সভা ছিল। চাকদহ ও পানিখালিতে সভা ছিল তাঁর। সভাস্থলে যাওয়ার জন্য চাকদহের প্রবেশ পথেই কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি ঢোকার সঙ্গে কালো পতাকা দেখানো হয়। তারপর ভিড়ের জন্য গাড়ি গতি কমতেই সমর্থকরা ঝাঁপিয়ে পড়েন গাড়ির উপর। ভাঙচুর করা হয় গাড়িটিতে।
অভিযোগ, অসমের এনআরসি-র রেশ এসে পড়ল বাংলায়। তারই জেরে এই বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনা। নিগ্রহ করা হয় বিজেপি নেতাকে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিজেপি নেতাদের মদতেই তাঁদের সাংসদ-মন্ত্রী-বিধায়কদের আটকে রাখা হয়েছিল শিলচর বিমানবন্দরে। তাঁদের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। সেই কারণেই বিজেপি নেতাদের কালো পতাকা প্রদর্শন।
তাহলে গাড়ি ভাঙচুর বা নেতার গাড়িতে হামলা কেন? স্থানীয় তৃণমূল এই ঘটনাকে জনরোষ বলে ব্যাখ্যা দিতে চাইছে। উল্লেখ্য, নদিয়ার দুটি সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল শমীক ভট্টাচার্য ও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিকেল চারটেয় সভা শুরু কথা ছিল। কিন্তু তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে সভাস্থলেই পৌঁছতে পারলেন না বিজেপি নেতা।