তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন, অগ্নিগর্ভ ক্যানিংয়ে গুলিবিদ্ধ আরও ৩, আক্রান্ত পুলিশও
নন্দীগ্রামের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়েও চলল গুলি। ক্যানিংয়ের গোলাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তৃণমূল কর্মী মিজানুর সর্দারের।
নন্দীগ্রামের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়েও চলল গুলি। ক্যানিংয়ের গোলাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তৃণমূল কর্মী মিজানুর সর্দারের। রবিবার বিকেলে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলাকলীন গুলিবিদ্ধ হন ওই কর্মী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হল। এই ঘটনায় অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন মিজানুর। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির দিকে।
ক্যানিংয়ে বোমা-গুলির লড়াইয়ে মিজানুর ছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও তিনজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে, তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে এলাকার দখল নেয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
তৃণমূলের অভিযোগ, এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে অনুমান করা গিয়েছিল। তাই পুলিশকে আগেভাগে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সে অর্থে কোনও আগাম ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর পুলিশ আসে বলে অভিযোগ স্থানীয় জনতার। সেই অভিযোগেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ভাঙচুরও হয় পুলিশের গুলিতে।
শনিবার রাতে নন্দীগ্রামে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল নেতা শেখ রুকুমুদ্দিন। তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে গভীর রাতে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এই ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি, রাজনৈতিক শত্রুতা রয়েছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।