গোষ্ঠী সংঘর্ষ প্রকাশ্যে! অন্ডালে শ্যুটআউটে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর
অণ্ডালে প্রকাশ্যে তৃণমূলের (trinamool congress) গোষ্ঠী কোন্দল। খাসকোজোয়ারার বৈধ কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে এই কোন্দল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা হয় একাধিক জনের ওপর। যাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে।
বেশিরভাগ জায়গায় কমল তাপমাত্রা! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ঠাণ্ডার কোন পরিস্থিতি, একনজরে

মদের আসরে গণ্ডগোল
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে কয়েকজনের সঙ্গে মদের আসরে ছিলেন এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত ধরমবীর নুনিয়া। সেই সময় খাসকোজোয়ারার বৈধ কয়লা খনি থেকে কয়লা তোলার দায়িত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বিদ্যুৎ নুনিয়া নামে অপর এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। বচসা থেকে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। অভিযোগ সেই সময় ধরমবীরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিদ্যুৎ।
অপর একটি সূত্রের খবর, বাসস্ট্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মোটরবাইকে আসা যুবকরা ধরমবীরের ওপরে হামলা চালায়। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে তাঁর সঙ্গে থাকা দুজনকে লোহার রড ও ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে ধরমবীরকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু তৃণমূলকর্মীর
ঘটনাস্থলেই ধরমবীর নুনিয়ার মৃত্যু হয়। ঘটনায় আরও ২ জন আহত হন। তাঁদেরকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্ত বিদ্যুতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

এলাকায় মাঝে মধ্যেই সংঘর্ষ
রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ফলে তাদের হাতেই রয়েছে কয়লা তোলার দায়িত্ব। তবে তা বিভিন্ন গোষ্ঠী.তে বিভক্ত। ফলে মাঝে মধ্যেই এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষের জেরেই প্রাণ গেল সক্রিয় তৃণমূল কর্মীর।

মুখ খোলেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব
যদিও এব্যাপারে মুখ খোলেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অন্ডাল থানা ঘেরাও করেন বলে জানা গিয়েছে।

তৃণমূলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ নতুন নয়
তবে তৃণমূলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। এর আগে আম্ফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছে বসিরহাটে। লাঠি, রড নিয়ে এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর ওপরে হামলা চালিয়ে ছিল। দোকান, বাড়ি, মোটর বাইক ভাঙচুর করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ হোক কিংবা শীতলকুটি সর্বত্রই মাঝে মধ্যেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
লকডাউনের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়েছে শাসক দল। মারামারিতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল এলাকা। এলাকায় মূলত আদি ও যুব সংগঠনের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়।