রায়গঞ্জে কংগ্রেস গড় কার্যত নিশ্চিহ্ন, ফুটল ঘাসফুল
রায়গঞ্জ থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল কংগ্রেস। ২৭টি ওয়ার্ডের ২৪টিতে জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র দু’টি ওয়ার্ড দখলে রাখতে সমর্থ হল কংগ্রেস। এই পুরসভায় খাতা খুলল বিজেপিও।
ভোটের নামে প্রহসনের অভিযোগ তুলে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। দাবি তোলা হয়েছিল পুনর্নির্বাচনেরও। তবু শেষ রক্ষা হল না। রায়গঞ্জ থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল কংগ্রেস।
২৭টি ওয়ার্ডের ২৪টিতে জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র দু'টি ওয়ার্ড দখলে রাখতে সমর্থ হল কংগ্রেস। এই পুরসভায় খাতা খুলল বিজেপিও। তারা একটি আসনে জয়ী হয়েছে।
কংগ্রেসের গড় বলেই এতদিন পরিচিত ছিল রায়গঞ্জ পুরসভা। প্রিয়রঞ্জনের অনুপস্থিতিতে রায়গঞ্জ হয়ে উঠেছিল মোহিত-গড়। নিজের গড়েই কার্যত ধরাশায়ী হলেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর কাছে তিনি হারলেন ৪২ ভোটে। সেইসঙ্গে রায়গঞ্জ পুরসভার দখল হারালেন ১৬ বছর পর। বিগত ১৬ বছর ধরে তিনিই এই পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। অবশেষে হেভিওয়েট প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত হার মানলেন তৃণমূলের কাছে।
এদিন সকালে গণনা শুরুর পর থেকেই কংগ্রেসের ধরাশায়ী হওয়ার চিত্রটা স্পষ্ট হতে শুরু করে। একের পর এক ওয়ার্ডে জয়ের খবর আসতে থাকে তৃণমূল প্রার্থীদের। এমনকী মোহিত সেনগুপ্তকেও হার মানতে হয়। ৪ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন অরুণচন্দ্র চন্দ ও অনিরুদ্ধ সাহা। আর ছ'নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি-র পুষ্পল দেব। রায়গঞ্জে কোনও আসনেই খাতা খুলতে পারেনি বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। বামেদের ঝুলি শূন্যই থেকেছে এবার।
সন্ত্রাসের আবহে এই পুরসভাতেও ভোট হয়েছে বলে দাবি তোলেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের প্রতিবাদেই দুপুরের পর প্রার্থীপদ প্রত্যহারের ঘোষণা করা হয়। ভোট নয় প্রহসন হয়েছে বলে দাবি তোলা হয়। পুনর্নির্বাচনের দাবিও তোলা হয়। কমিশন মাত্র একটি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ জারি করে। কোনও কিছু দাওয়াই কাজ করল না এই পুরসভায়। জয়ী হল তৃণমূলই। মোহিত গড়ে হাত বেদখল হয়ে গেল ।