দিলীপের গড়ে ক্যারিশ্মা দেখালেন শুভেন্দু! খড়গপুরে তৃণমূলের উত্থানের পরিসংখ্যান একনজরে

কংগ্রেসের গড় বলেই বরাবর পরিচিত ছিল রেলশহর খড়গপুর। সেখানেই কংগ্রেসের জ্ঞানসিং সোহনপালকে হারিয়ে দিলীপ ঘোষের উত্থান হয়েছিল ২০১৬ সালের ভোটে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় ফের ভোট হয় এই কেন্দ্রে। এবারই প্রথম পদ্মবনে ঘাসফুল ফুটিয়ে দিতে সমর্থন হলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দুকে দায়িত্ব মমতার
মমতা শুভেন্দুকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এই কেন্দ্রে। তিনি থাবা বসিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষের গড়ে। ছন্নছাড়া তৃণমূলকে এক করে ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতিয়ে আনলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারকে। জয়ের ব্যবধান ২০,৮১১। দিলীপ ঘোষ লোকসভায় এই কেন্দ্র থেকে লিড পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার। সব ব্যবধান মুছে জয় পেল তৃণমূল।

তিন থেকে একে তৃণমূল
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল তৃতীয় স্থান পেয়েছিল। এবার তৃতীয় স্থান থেকে এল লাফে উঠে এল প্রথম স্থানে। ২০১৬-য় কংগ্রেসের জ্ঞান সিং সোহনপালকে প্রায় ৬ হাজার ভোটে হারিয়ে জয়যুক্ত হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি পেয়েছিল ৩৯.২৯ শতাংশ ভোট। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তি ছিল ৩৫.২৫ শতাংশ। আর তৃণমূল পেয়েছিল ২১.৭৩ শতাংশ ভোট।

দিলীপের শক্ত ঘাঁটি
আর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এখানে বড় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছিল। দিলীপ ঘোষ এই কেন্দ্র থেকে ৪৭ হাজারেরও বেশি লিড পেয়েছিলেন। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫৭.২৩ শতাংশষ তৃণমূল পেয়েছিল ২৯.৫৮ শতাংশ ভোট। আর বাম-কংগ্রেসের ঝুলিয়ে গিয়েছিল সাকুল্যে ১০.০৩ শতাংশ ভোট।

দিলীপের গড়ে ফুটল ঘাসফুল
এবার দিলীপের ছেড়ে যাওয়া আসনে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জবাব দিল তৃণমূল। তৃণমূল এই কেন্দ্রে জয় পেল ২০,৮১১ ভোটে। তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৭২,৪২৪। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৫১,৬১৩। আর বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী ২২,৫৩০ ভোট পেয়েছেন। পাশা উল্টে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

শুভেন্দুর কৌশলে তৃণমূলে জোয়ার
শুভেন্দুকে এই কেন্দ্রে দায়িত্বে আনার পরই তৃণমূলে জোয়ার আসে। যেখানে তৃণমূলের সাত-আটটা গ্রুপ ছিল, তাদেরকে এক জায়গায় করে বিজেপিকে মোক্ষম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। দিলীপ-মুকুলরা বাধ্য হন শুভে্ন্দুকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে। শুভেন্দু পাল্টা আক্রমণের পথে না গিয়ে ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। শেষে ফলাফলেই মোক্ষম জবাব দিলেন শুভেন্দু।