লক্ষ্য ২০২১, সোমবার থেকে দিদিকে বলোর দ্বিতীয় দফায় মেগা কর্মসূচি শুরু তৃণমূলের
১ মার্চ বিজেপির সভার পর এবার ২ মার্চ হতে চলেছে তৃণমূলের মেগা কর্মসূচি। এদিন থেকে তৃণমূলের ৭৫ দিন ব্যাপী প্রচার কর্মসূচির শুরু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১ মার্চ বিজেপির সভার পর এবার ২ মার্চ হতে চলেছে তৃণমূলের মেগা কর্মসূচি। এদিন থেকে তৃণমূলের ৭৫ দিন ব্যাপী প্রচার কর্মসূচির শুরু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দলের নির্দিষ্ট নেতা কর্মীদের কাছে দলের আবেদনপত্র পৌঁছে গিয়েছে। এই ধরনের মেগা কর্মসূচি এর আগে কোনও রাজনৈতিক দল করেনি বলেই দাবি করেছে তৃণমূল।
পাখির চোখ ২০২১
মেগা কর্মসূচির মধ্যেই পড়ছে পুরনির্বাচন। কিন্তু তৃণমূলের পাখির চোখ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে প্রচার।
প্রচার করা হবে ভাল কাজের
তৃণমূলের দাবি ২০১১-তে রাজ্যে শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তনই হয়নি রাজ্যের হতশ্রী চেহারাও দূর হয়েছে। তা সত্ত্বেও লোকসভা ধাক্কা খেতে হয়েছে ঘাসফুল বাহিনীকে। তৃণমূল মনে করছে ২০২১-এর নির্বাচনে রাজ্য সরকার কী কী ভাল কাজ করেছে তার খতিয়ানও মানুষ চাইবেন। ফলে তা নিয়ে প্রচার শুরু করা হচ্ছে।
ঝাঁপাবেন একলক্ষ কর্মী
তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ৭৫ দিনের মেগা কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন প্রায় একলক্ষ কর্মী। এই কর্মসূচির অংশীদার হবেন বুথ তেকে রাজ্যের প্রতিটি স্তরের পদাধিকারিরা। দশটি ধাপে তাঁরা কাজ করবেন। সরকারের সফল প্রকল্প এবং তৃণমূল কোন জায়গায় অন্যদের থেকে আলাদা, তা এই সময়ের মধ্যে তুলে ধরা হবে।
১৫ দিনে ৪৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার
এই প্রচারে বিধায়কদেরও একটা বড় দায়িত্ব থাকছে। তাদেরকে নিজের কেন্দ্রে ১৫ দিন করে থাকতে হবে। এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৪৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচারের যেতে হবে তাদের। করতে হবে ছোট সভা। আর শহর অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে হবে।
যেতে হবে ধর্মীয় স্থানগুলিতে
মাঠে নেমে বোঝাতে হবে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কেন দরকার। পাশাপাশি ধর্মীয়স্থাগুলিতেও প্রচার চালাতে হবে। এব্যাপারে বিধায়কদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।