বাংলার পঞ্চায়েত বিশ্বসেরা, বিশ্বব্যাঙ্কের তকমাই ভোট-যুদ্ধে হাতিয়ার করবে শাসক শিবির
রুটিনমাফিক কাজের বাইরে গিয়েও গ্রামোন্নয়নে নজির গড়েছে রাজ্যের সরকার। রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়ন খতিয়ে দেখে বাংলার মুকুটে সেরার শিরোপা তুলে দিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক।
কলকাতা, ২২ মার্চ : রুটিনমাফিক কাজের বাইরে গিয়েও গ্রামোন্নয়নে নজির গড়েছে রাজ্যের সরকার। রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়ন খতিয়ে দেখে বাংলার মুকুটে সেরার শিরোপা তুলে দিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। এমনকী বাংলার পঞ্চায়েতকে বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান বলেও অখ্যায়িত করেছে তারা। আর বিশ্বব্যাঙ্ক প্রদেয় এই সেরার স্বীকৃতিকেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল।[বাংলার পঞ্চায়েতই পাখির চোখ, অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে চায় বিজেপি]
বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ই-গভর্ন্যান্স, পরিচালনা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বাংলা প্রভূত উন্নতি করেছে। সক্ষমতা, সাবলীলতা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বের যে কোনও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতগুলি। বিগত ৬ বছর ধরে এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে বাংলা। সেই বিশ্বসেরার শিরোপা মাথায় নিয়ে বাংলার সরকারি দল এবার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে। এটা অ্যাডবান্টেজ বলেই মনে করছে তৃণমূল।['বাংলাকে জ্ঞান না দিয়ে প্রাপ্য টাকা দিন', পঞ্চায়েত সম্মেলনে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী]
রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জল প্রকল্প, নিকাশি ব্যবস্থা, গ্রামের মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নতিতে বাংলার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দারুন কাজ করেছে। বিশ্বব্যাঙ্কের সমীক্ষা রিপোর্টে তা প্রকাশ পেয়েছে। এই সমীক্ষা রিপোর্ট হাতে পেয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আপ্লুত। তিনি যে দু'দফায় পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন, তাতে রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। গ্রামোন্নয়ন ঘটেছে। সেই সাফল্যের পথ ধরেই ভোট বৈতরণী পার হওয়া সম্ভব বলে মনে করছে শাসক শিবির।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এখনও অনেক কাজ বাকি। এই সম্মান সেই কাজে আরও উৎসাহ জোগাবে। বাংলার গ্রামের উন্নয়ন তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে। আগামী দিনে আরও ভালো কাজ হবে বলে তাঁর বিশ্বাস। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। রাজ্যের অন্তত এক হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই সাফল্য আসে। আর এই সাফল্যের খতিয়ান তো তুলে ধরতেই হবে বাংলার মানুষের সামনে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে তা প্রচারে তুলে ধরেই এগোতে চাইছে তৃণমূল।
সুব্রতবাবু বলেন, দৈনন্দিন কাজের বাইরে গিয়ে গ্রামবাসীদের মনোনয়ন, মহিলাদের আর্থিক উন্নতি, ই-গভর্ন্যান্স, পঞ্চায়েত পরিচালনায় স্বচ্ছতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় বিশ্বব্যাঙ্ক রাজ্যের পারফরম্যান্সকে সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, লক্ষ্যমাত্রা যদি ১০০ শতাংশ ধরা হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামপঞ্চায়েতগুলি ২৩৫ শতাংশ কাজ করেছে। যা কার্যত রেকর্ড। এই আঙ্গিকেই বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান হয়েছে বাংলার পঞ্চায়েত।