কলকাতা পুরসভা কার দখলে, কে কত আসনে জয়ী, বুথ ফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর কলকাতা পুরসভাতেও ক্লিন সুইপের পথে তৃণমূল। বুথ ফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস তৃণমূল রেকর্ডসংখ্যক আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। ছোট লালবাড়ির লড়াইয়ে কোন দল কতগুলি আসন পেতে চলেছে, তার আভাস দিল এবিপি-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা।

৯০ শতাংশের বেশি আসনে জিতবে তৃণমূল!
কলকাতা পুরভোটের ১৪৪টি ওয়ার্ড। বুথ ফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস তৃণমূলই জিতছে কলকাতা পুরসভায়। কিন্তু বিজেপি কি থাবা বসাতে পারবে তৃণমূলের কর্তৃত্বে? এবিপি-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় আভাস, তৃণমূল এবার আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ৯০ শতাংশের বেশি আসনে জিততে চলেছে।

বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী কার দখলে কত আসন
এবিপি-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, কলকাতা পুরভোটে ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩১টি আসনে জিততে চলেছে তৃণমূল। বিজেপি ১৩টি আসনে জিতে প্রধান বিরোধী দল হতে চলেছে। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস এবারও মুছে যাচ্ছে কলকাতার ভোটে। বিধানসভার পর কলকাতা পুরসভাতেও এবার তাদের কোনও প্রতিনিধি থাকছে না।

আদতে একমুখী লড়াই হল কলকাতা পুরভোটে
এবিপি-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় প্রকাশ, তৃণমূল পেতে পারে ৫৯ শতাংশ ভোট। বিজেপি পাবে ২৮ শতাংশ ভোট, সিপিএম ৫ শতাংশ, আর কংগ্রেস পেতে পারে ৬ শতাংশ ভোট। অন্যান্যরা ২ শতাংশ ভোট পাবে। কলকাতা পুরভোটে খাতায়-কলমে চতুর্মুখী লড়াই হলেও আদতে একমুখী লড়াই হল বলে বুথ ফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট।

২০১৫ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে কে কত আসনে জয়ী
২০১৫ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনেও তৃণমূল পর্যাপ্ত প্রাধান্য নিয়ে জিতেছিল। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ১১৪টি ওয়ার্ডে। আর দ্বিতীয় স্থানে ছিলে বামফ্রন্ট। সিপিএম নেতৃত্বধীন বামফ্রন্টের দখলে গিয়েছিল ১৫টি ওয়ার্ড। বিজেপি জিতেছিল সাতটি ওয়ার্ডে। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল ৫টি ওয়ার্ড। আর অন্যান্যরা জয় পেয়েছিল তিনটি ওয়ার্ডে।

একুশের বিধানসভা ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী
একুশের বিধানসভা ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩২টিতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি এগিয়েছিল ১১টিতে। আর কংগ্রেস এগিয়ে ছিল মাত্র একটি ওয়ার্ডে। বামেরা কোনও ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল না। তৃণমূল পিছিয়ে ছিল ভবানীপুরের ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড, রাসবিহারীর ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড, জোড়াসাঁকোর ২২, ২৩, ২৫, ২৭ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড, শ্যামপুকুরের ২১ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড, মানিকতলার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এবং চৌরঙ্গীর ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে পার্থক্য পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানের
ভবানীপুর উপনির্বাচনে দেখা গিয়েছে যে দুটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল, সেই ওয়ার্ড দুটিতেও তারা এগিয়ে গিয়েছে বিজেপিকে পিছনে ফেলে। অর্থাৎ তৃণমূলের অগ্রগমন এই মুহূর্তে ১৩৪টি ওয়ার্ডে। বিজেপি ১১ ও কংগ্রেস ১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে থাকছে। সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষা দেখিয়েছিল ওই ১৩৪ সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যাবে তৃণমূল। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষায় আভাস তৃণমূল পাবে ১৩১টি আসন। বিজেপি বরং একুশের বিধানসভার থেকে বেশি আসনে জয়ী হচ্ছে বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী।
