লক্ষ্য ২০২১ বিধানসভা, ছয় মন্ত্রে দৃষ্টিভঙ্গি-মানসিকতায় বদল আনার কৌশল তৃণমূলের
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি বিনাশের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টে বিজেপি আরও শক্তিশালী হয়ে বঙ্গে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি বিনাশের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টে বিজেপি আরও শক্তিশালী হয়ে বঙ্গে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। আর ভোট ফুরোতেই তৃণমূল ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছে মুকুল-কৈলাশ ব্রিগেড। এই অবস্থায় ফের প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে এবং ভাঙন রোধে তৃণমূল খোলনোলচে বদলাতে শুরু করেছে।
ঘুরে দাঁড়াতে বদলাতে চাইছে তৃণমূল
বর্তমান পরিস্থিতি সংগঠন ধরে রাখতে তৃণমূল কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশান্ত কিশোরের মতো ভোট কৌশলীকে নিয়োগ করে ফের ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তৃণমূল। সেজন্যই দলের দৃষ্টিভঙ্গিতেও কিছু বদল আনা হচ্ছে। বদল আনা হচ্ছে মানসিকতায়। বিধানসভার আগে 'সাবধানী' তৃণমূল এখন জোর দিচ্ছে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে।
ছয় মন্ত্রে দীক্ষিত তৃণমূলট
আর সংগঠনকে শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে তৃণমূল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলি হল- ১) মানুষের কাছে বারবার যেতে হবে, ভুল স্বীকার করতে হবে। ২) আদিবাসী উন্নয়নে বিরোধীদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ৩) বিরোধীদের গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ৪) দল ও প্রশাসনকে আলাদা রাখতে হবে। ৫) দলে প্রশাসনিক নির্ভরতা কমাতে হবে। একেবারেই প্রশাসন নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। ৬) বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। সবকিছুতেই প্রতিক্রিয়া দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
তৃণমূলের কায়দা প্রয়োগ বিজেপির
বামেদের সরিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর যে কায়দায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে ভেঙেছিল, সেই একইভাবে লোকসভায় উত্থানের পর বিজেপি ভাঙছে তৃণমূলকে। এই অবস্থায় দলের সংগঠনকে ধরে রাখতে তৃণমূলের দখলদারির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে তৃণমূলকে এই পরামর্শ দিয়েছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতি তৃণমূল ভবনে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দলকে ছয় মন্ত্রে দীক্ষিত করেন তিনি।