ভোট বানচাল করতে বসিরহাটে গুন্ডা এনেছে তৃণমূল, দাবি বিজেপির
সারদা-কাণ্ডের ছায়ায় দু'টি বিধানসভা আসনে ভোট হচ্ছে। বসিরহাট দক্ষিণে সিপিএম বিধায়ক নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এখানে এ বার সিপিএম দাঁড় করিয়েছে মৃণাল চক্রবর্তীকে। কংগ্রেসের প্রার্থী অসিত মজুমদার। আর যে দু'জনে এখানে মূল লড়াই হবে, তাঁরা হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দীপেন্দু বিশ্বাস আর বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য। লোকসভা ভোটের নিরিখে যদি ফলাফল বিশ্লেষণ করা যায়, তা হলে দেখা যাচ্ছে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা আসনে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। প্রার্থী ছিলেন এই শমীকবাবুই।
সারদা-কাণ্ডের জেরে মানুষ ক্ষুব্ধ থাকায় এ বার বিজেপি ভোটের মার্জিন আরও বাড়িয়ে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হলে বসিরহাটে তারা জিতছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, হাওয়া খারাপ আঁচ করেই তাই বাইরে থেকে মস্তানদের ভাড়া করে এনেছে শাসক দল। স্করপিও, পাজেরো, টয়োটা ইনোভা ইত্যাদি দামী গাড়িতে চড়ে এরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের শাসাচ্ছে। শনিবার ভোট দিতে গেলে 'দেখে নেওয়া হবে' বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভোটের দিন এরা বুথ জ্যাম করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা। বসিরহাট চৌমাথার কাছে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে অচেনা মুখগুলি ঘুরে বেড়াচ্ছে বুধবার রাত থেকেই। এরা ভোটের দিন ব্যাপক রিগিং চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিজেপি। তাই দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
কংগ্রেস প্রার্থী অসিত মজুমদারের কথায়ও বিজেপির দাবির সমর্থন মিলেছে। তিনি বলেছেন, "ভোটের আগে এত গুন্ডা-মস্তান বসিরহাট শহরে কখনও দেখিনি। এ বার বসিরহাটের মানুষ নতুন জিনিস দেখছেন। সব দেখেও পুলিশ চুপ করে আছে।"