তৃণমূলের যুবশক্তির ব্যাপক সাড়া বাংলায়, মিশন একুশে ইতিমধ্যেই টার্গেট ৫০ লক্ষ পরিবার
একুশে জুলাই শহিদ দিবসের আগে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব শক্তির আহ্বানই ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
একুশে জুলাই শহিদ দিবসের আগে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব শক্তির আহ্বানই ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। বাংলার তরুণ প্রজন্মের কাছে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের এই কর্মসূচিতে বিশাল সাড়া মিলেছে। করোনা মহামারী এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সঙ্কটে দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াতে অভিষেকের আহ্বানে এগিয়ে এসেছে বাংলার যুবসমাজ।
তৃণমূলের যুবশক্তি এক লক্ষ থেকে বেড়ে ৫ গুন
ভার্চুয়াল বৈঠকে ভাষণ দিয়ে অভিষেক বলেন, "আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তরুণ প্রজন্মকে দুর্দশাগ্রস্থ মানুষদের সহায়তায় হাত মিলাতে উৎসাহিত করার জন্য একটি অভিযান শুরু করেছি। আমরা এক লক্ষ যুবককে এই অভিযানে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলাম বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। এখন এই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লক্ষেরও বেশি। এই পাঁচ লক্ষ যুবক-যুবতী কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছে।"
১০টি পরিবারের পাশে ১ জন সদস্য
তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, এই ৫ লক্ষ যুব যোদ্ধার প্রত্যেকের প্রধান ভূমিকা হবে অন্তত ১০ দরিদ্র পরিবারকে চিহ্নিত করা এবং তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা এবং তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। প্রতিটি যুব যোদ্ধা রাজ্যজুড়ে ১০টি পরিবারের যত্ন নেবেন। তাঁদের ইচ্ছা অনুযায়ী ১০টি পরিবারের তালিকা তৈরি করার এবং তাঁদের কাজ শুরু করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে অভিযান
তৃণমূল সংসদ সদস্য প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে এই পদক্ষেপটি নিয়েছিলেন এমন এক সময়ে যখন করোনার সংকট এবং আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষ হাহাকার করছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘূর্ণিঝড় ত্রাণ তহবিল এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।
তৃণমূলকে অক্সিজেন যুবশক্তির প্রচারে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গণসংযোগ চালানোর উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পনা করে। তারপর ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস পালন করতেও প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। এবার ধর্মতলায় রাজকীয় আঙ্গিকে সেই অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তার আগে যুব শক্তি প্রদর্শনের এই সাফল্যে তৃণমূলকে অক্সিজেন দিল নতুন করে।