তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেত্রী পদ হারাতেই অনুগামীদের ডানা ছাঁটা শুরু, জল্পনা তুঙ্গে
তৃণমূলের হেভিওয়েট নেত্রী পদ হারাতেই অনুগামীদের ডানা ছাঁটা শুরু, জল্পনা তুঙ্গে
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে রদবদল হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সংগঠন বাড়াতে। অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে। সেখানে নতুন সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন গৌতম দাসকে। তারপরই দলে ফিরেছেন হেভিওয়েট নেতা বিপ্লব মিত্র।
তিন নেতাকে শোকজ, কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের
আর তৃণমূলের জেলা সভপতির পদ থেকে অর্পিতা ঘোষকে সরানো পরই তাঁর অনুগামী তিন নেতার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল দল। দেবাশিস মজুমদার, শুভাশিস পাল ও সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাসকে শোকজ করা হয়েছে। তঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। অভিযুক্ত নেতারা জানিয়েছেন শোকজের লেটার পেলেই জবাব দেবেন।
অর্পিতা ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই ব্যবস্থা!
জেলা সভাপতি গৌতম তাঁদের শোকজ করার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি এই তিন নেতা প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই ডানা ছাঁটতে শুরু করেছে তৃণমূল। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এই পদক্ষেপ কিন্তু প্রভাব ফেলবে জেলার রাজনীতিতে।
দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলে পদ হারানোর আশঙ্কা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তখন জেলা তৃণমূলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, ওই তিন নেতার পাশাপাশি অর্পিতা ঘনিষ্ঠ অন্য নেতাদেরও সরানো হবে না তো! এই ঘটনায় জেলা তৃণমলের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। অন্য নেতারাও পদ হারানোর আশঙ্কা করছেন।
শুদ্ধিকরণ করতে গিয়ে যদি দলে ভাঙন দেখা দেয়
তৃণমূলে এই পদ হারানোর আতঙ্ক বুমেরাং হতে পারে ২০২১ নির্বাচনের আগে। তৃণমূল এখন শুদ্ধিকরণে নেমেছে। কিন্তু শুদ্ধিকরণ করতে গিয়ে যদি দলে ভাঙন দেখা দেয় তাহলে তা মহাবিপদ হয়ে যাবে তৃণমূলের কাছে। তৃণমূল জানিয়ছে, ওই নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েই শোকজ লেটার পাঠানো হয়েছে।
শোকজ প্রসঙ্গে কী বললেন অর্পিতা ঘোষ
অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, দল প্রয়োজন মনে করেছে, তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তৃণমূল। এখানে ঘনিষ্ঠ নেতা বা অনুগামীর প্রশ্ন নেই। যদি কোনও নেতার বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ ওঠে তা অবশ্যই তদন্তসাপেক্ষ। এর বাইরে কেউ নন। আমি নই, অন্যরাও নন।
বিপ্লব মিত্রের অভিব্যক্তি শোকজ প্রসঙ্গে
প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা একেবারেই সঠিক। যে তিনজন নেতাকে শোকজ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে এমন একজন রয়েছে যাঁকে আমি সভাপতি থাকাকালীন শোকজ করেছিলাম, বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এবারও সেই নেতা রয়েছেন শোকজের তালিকায়। দল যা ভালো বুঝবে, তা করবে।
কবে আসছে বাংলায় করোনা টীকা, ইঙ্গিত দিল নাইসেড, জেনে নিন গণটীকা করণের দিনক্ষণ