কংগ্রেসকে নজিরবিহীন তোপ তৃণমূলের, মুখপত্রে লেখা হল ২৪-এ স্বেচ্ছা-মৃত্যুর কথা
পাঁচ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস পর্যুদস্ত হয়েছে। চার রাজ্যে গোহারা হেরেছে বিজেপির কাছে আর পাঞ্জাবে তাদের রাজপাট খোয়াতে হয়েছে আম আদমি পার্টির কাছে।
পাঁচ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস পর্যুদস্ত হয়েছে। চার রাজ্যে গোহারা হেরেছে বিজেপির কাছে আর পাঞ্জাবে তাদের রাজপাট খোয়াতে হয়েছে আম আদমি পার্টির কাছে। এই পরাজয়ের ফলে ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের পিঠ একেবারেই ঠেকে গিয়েছে দেওয়ালে। এই অবস্থায় কংগ্রেসকে তোপ দাগল তৃণমূল। তাদের মুখপত্রে লেখা হল স্বেচ্ছামৃত্যুর কথা।
এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যার জেরে ঘরে বাইরে সমালোচিত হচ্ছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। এই ব্যর্থতার পর কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বীরা কোমর বেঁধেছে আক্রমণ শানাতে। বাংলায় তৃণমূলও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। তারা কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিয়েছে।
দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলটির হেভিওয়েট নেতারা একের পর এক হেরেই চলেছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে তারা স্বেচ্ছামৃত্যু দিকে এগিয়ে চলেছে। সেই স্বেচ্ছামৃত্যু রুখতে পরামর্শ দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তাদের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হল কংগ্রেসের এই অবস্থায় কী করণীয়।
কংগ্রেসের এই ভরাডুবির ফলে তাঁদের অন্দরে বিদ্রোহের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তারা দেখিয়ে দিয়েছে জেতা রাজ্যকে কীভাবেব বিরোধীদের হাতে তুলে দেওয়া যায়, আর নিশ্চিত জয়কেও কীভাবে হারে রূপান্তরিত করা যায়। কংগ্রেসের দুর্বলতা পরতে পরতে প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সঠিক নেতৃত্বদানের মতো কেউ নেই।
তৃণমূল কংগ্রেস কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বকে বিঁধেছে। তেমনই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উদ্দেশে লিখেছে, সারা রাজ্য ঘুরে দাঁড়ালেন। তবু দিনের শেষ আসন মাত্র দুই। সর্বকালীন খারাপ রেকর্ড কংগ্রেসের। যাঁকে মনে করা হচ্ছিল ইন্দিরার উত্তরসূরি, তাঁর এই খারাপ পারফরম্যান্সে অবাকই হতে হয়।
শুধু উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ব্যর্থতাই নয়, উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় কংগ্রেস ইতিবাচক অবস্থানে থেকেও হরেছে। দিনের শেষে কংগ্রেসের কলসি শূন্যই থেকে গিয়েছে। এখন জরুরি হয়ে গিয়েছে বর্ষীয়ান নেতাদের দাবি মেনে দলের নেতৃত্ব বদল। তা না হলে কংগ্রেসকে বাঁচানো যাবে না। সঠিক সময়ে যদি কংগ্রেস নেতৃত্ব বদলের পথে হাঁটত, তবে এমন ব্যর্থতার মুখে হয়তো পড়তে হত না।
এই অবস্থায় রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বসছে। বৈঠকের আগে সে কথাই মনে করাল তৃণমূল। এবার কংগ্রেসের নেতৃত্ব বদলের সময় এসেছে। তৃণমূল দাবি করেছে, তারা কখনই বলেনি কংগ্রেস বাদ দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হোক জাতীয় স্তরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিকল্প শক্তির একটি স্টিয়ারিং কমিটি হোক।