২১ জুলাইয়ের আগেই শহিদ স্মরণ মমতার, ফেসবুকে ভিডিও বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর
২১ জুলাইয়ের আগেই শহিদ স্মরণ মমতার, ফেসবুকে ভিডিও বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর
কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই শহিদ স্মরণ শাসক দলের। ২১ জুলাইয়ে আগেই শহিদ স্মরন করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের িনরাপদে এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে শহিদ সমাবেশে যোগদানের বার্তা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকেও আহ্বান জানিয়েছেন এই ঐতিহাসিক শহিদ সমাবেশ দেখার।
শহিদ স্মরণ মমতার
আগামিকাল ২১ জুলাই। তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস। তার আগেই শহিদ স্মরণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় তিিন বলেছেন, 'আমরা আমাদের বীর শহিদদের স্মরণ করতে গিয়ে সেই পুরনো সময়ে ফিরে যাচ্ছি । আমাদের শহিদদের মহৎ আত্মত্যাগকে স্মরণ না করে আমাদের জীবনে একটিও দিন কাটে না । আগামী প্রজন্মের জন্য, সমগ্র তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিটি পরিবার। শহিদ দিবসে একত্রিত হবে এবং শহিদদের প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাবে। আপনার রক্ত কখনও বৃথা যাবে না, আমরা প্রতিজ্ঞা করছি! '
সব রাজনৈতিক দলকে বার্তা
ভিডিও বার্তায় তৃণমূল সুপ্রিমো সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,' সব রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, সবাইকে আবেদন করছি আসুন। সব ক্ষেত্রের মানুষকে বলছি আসুন, এসে প্রত্যক্ষ করুন ২১ জুলাই। ২১ মানেই আন্দোলন, ২১ মানেই ভাষা, ২১ মানেই দিশা।' দলীয় কর্মীসমর্থকদের শান্তিপূর্ণ ভাবে আসার আহ্বান জািনয়েছেন তিিন। দলীয় কর্মীদর তিনি বার্তা দিয়েছেন, 'প্রতি বছর এই সময়টায় আবহাওয়া খারাপ থাকে, ঝড়-বৃষ্টি হয়। তা সত্ত্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের চেষ্টায় কলকাতায় আসেন। যে সব নেতা-কর্মীরা জেলা থেকে আসছেন, তাঁদের সবাইকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলেছেন তিিন। গাড়িতে যাঁরা আসবেন তাঁরা তাড়াহুড়ো করবেন না, হুড়োহুড়ি করবেন না। কোনও দুর্ঘটনা যেন না ঘটে৷' সেকারণে জেলা প্রশসনকে তৎপর হতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রেকর্ড ভিড় হবে
করোনাকালের মধ্যে ২ বছর পর এই প্রথম শহিদ সমাবেশ হচ্ছে। কাজেই রেকর্ড ভিড় হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। টিএমসির পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে সেকথা। গত ৩ দিন ধরেই দলীয় কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন শহরে। গোটা কলকাতা সেজে উঠেছে শহিদ সমাবেশের পোস্টার ব্যানারে। কর্মীদের থাকার জন্য সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম সহ একাধিক জায়গায় বন্দ্যোবস্ত করা হয়েছে। সেখানে জেলা থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবারের বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
সেজে উঠেছে ধর্মতলা
ইতিমধ্যেই শহিদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে ধর্মতলা। ৪৩ ফুট বাই ৮০ ফুটের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ৫০০ জন বসা যাবে সেই মঞ্চে। এদিন শহরের িনরাপত্তায় থাকছে ৩৭০০ পুলিশকর্মী। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। তাঁর জন্য আলাদা গেট বসানো হয়েছে। চলবে ড্রোনে নজরদারি। গতকাল থেকেই কলকাতা পুলিশ তৎপর। ২১ জুলাই ভোর ৩টে থেকে শহরে কোনও যান ঢুকবে না। সেকারণে ২১ জুলাই শহরের একাধিক বেসরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক স্কুল অনলাইনে ক্লাস েনয়ার কথা জানিয়েছে।
ভরা শ্রাবণে কালীপুজোর আয়োজন বঙ্গ বিজেপির, আমন্ত্রণ পত্র গেল প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে