কাঁটা তৃণমূলই! মমতার নির্দেশের পরেই বিদ্রোহী নেতাদের 'ছাঁটা' শুরু শীর্ষ নেতৃত্বের
তৃণমূলের কাঁটা তৃণমূলই! তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ উপেক্ষা করেই একাধিক জায়গাতে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন একাধিক নির্দল প্রার্থী। বিশেষত যারা এবার তৃণমূলে টিকিট পাননি তাঁরাই দলের অনুমোদিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। আর এই গো
তৃণমূলের কাঁটা তৃণমূলই! তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ উপেক্ষা করেই একাধিক জায়গাতে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন একাধিক নির্দল প্রার্থী। বিশেষত যারা এবার তৃণমূলে টিকিট পাননি তাঁরাই দলের অনুমোদিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। আর এই গোঁজ নির্দল প্রার্থীরাই নেতৃত্বের মাথা ব্যাথার কারণ।
এই অবস্থায় চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও কেউ প্রার্থী প্রত্যাহার করেননি। যা আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে দলের কাছে। আর এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নিল তৃণমূল।
আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জেলার প্রত্যেকটি জায়গাতে সার্ভে করা হয়েছে। যাঁরা নির্দল হিসেবে লড়ছেন ও তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচিত মুখ, তাঁদের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। তৃণমূল মহাসচিবের কথায়, একাধিকবার এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। ফলত সন্ধ্যার পর থেকেই ওই সমস্ত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আর সন্ধ্যা নামতেই এই সমস্ত বিদ্রোহী নেতাদের উপর খাঁড়া নেবে এল। জানা যাচ্ছে, একাধিক জেলাতে বিদ্রোহী নেতাদের ইতিমধ্যে শোকজ করার কাজ শুরু হয়েছে। পুরুলিয়া, ঝালদা সহ বেশ কয়েকটি পুরসভা এলাকাতে তৃণমূল নেতাদের বহিস্কার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়ার পাঁচজনকে এবং ঝালদা পুরসভার তিনজনকে বহিস্কার করা হয়েছে। ছয় বছরের জন্যে বহিস্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও বীরভূম, দুবরাজপুর পুরসভা এলাকাতেও বেশ কয়েকজন বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও নদিয়াতেও ২৩ জন তৃণমূল নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও কলকাতা সংলগ্ন শহরতলির পুরসভা এলাকাগুলিতেও বেশ কয়েকজন নেতা আছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। খুব শিঘ্রই তাঁদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে এই নির্দলদের নিয়ে কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি নির্দল প্রার্থীদের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেন। এমনকি নির্দেশ অমান্য করলে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হবে বলেও স্পষ্ট বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুত্রের খবর, এই বিষয়ে খুব শিঘ্রই জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, গোঁজ কিংবা নির্দল প্রার্থীদের কোনও ভাবে সহ্য করা হবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেই কড়া বার্তা দেওয়া হল। প্রথম ধাপেই একাধিক নেতাকে ছেটে ফেলল শাসকদল। এক তৃণমূল নেতার কথায়, দলের শৃঙ্খলাটাই সব। কখনই দলের নির্দেশ উপেক্ষা করা উচিৎ নয় বলেও মন্তব্য তাঁর।