দিলীপ বিজেপি বনাম সুকান্ত বিজেপি! বঙ্গের গেরুয়া সমীকরণ নিয়ে কীসের ইঙ্গিত কুণালের
বিজেপির যুব মোর্চার বিকাশ ভবন অভিযানকে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, বিজেপি এখন বাংলায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এদিন বিজেপির বিকাশ ভবন অভিযানে সেই ছবিই ফুটে উঠল। অর্থহীন একটা কর্মসূচি করে বিজেপি এক নাটক উপস্থপনা করল।

তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগে এদিন বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। সেই অভিযানকে দিলীপ বিজেপি বনাম সুকান্ত বিজেপির অস্তিত্বের লড়াই বলে তকমা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, অস্তিত্ব সংকটে বিজেপি, সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতেই এই অভিযান বিজেপির।
এখানে সরকার সরকারের কাজ করতে। বিজেপির অভিযানের কোনও কারণ নেই। কারণ আমাদের রাজ্যে অন্যান্য রাজ্যের থেকে কর্মসংস্থান বেশি। অন্য রাজ্যের তুলনায় এখানে মাথাপিছু আয়ও বেশি। ভিনরাজ্যের থেকে কর্মস্থান ও আয়ে অনেক সুরক্ষির বাংলা। তাই বিক্ষোভ নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। বিজেপি নাটক করে টিকে থাকতে চাইছে বাংলার রাজনীতিতে।
কুণাল ঘোষের কথায়, সুকান্ত মজুমদার হীনন্মন্যতায় ভুগছেন। কেননা সম্প্রচতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে অনভিজ্ঞ বলেছেন। তাই নিজের অস্তিত্বের জানান দিতে তিনি ১২০ জন লোককে নিয়ে এই গরমের দিনে রাস্তায় বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। একজন রাজ্য সভাপতি কজন লোককে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন, লজ্জা লাগা উচিত। এসবই নাটক বিজেপির।
সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, বাংলার ক্রমাগত চাকরি বিক্রি হচ্ছে। আজকে আন্দোলনে আমাদের কর্মীরা আহত হয়েছেন। আগামী দিনে আমরা কোর্টের কাছে এফআইআর দায়ের করব পুলিশের বিরুদ্ধে। আর তৃণমূলের যেসব নেতারা টাকার বিনিময়ে চাকরির সুপারিশ করেছেন, সেই সব নেতাদের নাম প্রকাশ্যে আনব প্রমাণ-সহ। নবান্নের ১৪ তলা পর্যন্ত আমরা এই লড়াইকে পৌঁছে দেব।
আর এর প্রেক্ষিতেই কুণাল ঘোষ বলেন বিজেপির অস্তিত্বের লড়াইয়ে এই আন্দোলন চলছে। সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন বনাম বর্তমান সভাপতির মধ্যে অভিজ্ঞতা-তরজা শুরু হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছিল, সেই মতানৈক্যের অবসান হবে বিজেপির বিকাশ ভবন অভিযানে। সেখানে একইসঙ্গে মিছিলে হাঁটতে দেখা যাবে বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু মিছিলে ছিলেন না দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে বিকাশ ভবন অভিযান হল এদিন। এই অভিযানে মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য, রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ছিলেন না প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফলে বিজেপিতে দ্বন্দ্ব, অসন্তোষ ও সংঘাত থেকেই গেল এই মিছিলের পরও। দিলীপ ঘোষের অনুপস্থিতিত ঘরে-বাইরে বিজেপি প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল।