অধীর-গড়ে জোট হচ্ছেই! ধরেই নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, পাল্টা বোড়ের চাল শুভেন্দুর
তৃণমূল দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মুর্শিদাবাদের গড়ও হারিয়েছে কংগ্রেস। নিজের গড়েই অধীর চৌধুরী একা হয়ে গিয়েছেন। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পাখির চোখ পঞ্চায়েত।
তৃণমূল দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মুর্শিদাবাদের গড়ও হারিয়েছে কংগ্রেস। নিজের গড়েই অধীর চৌধুরী একা হয়ে গিয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁর ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো। আর তা করতে অধীর চৌধুরী সিপিএমের সঙ্গে যে জোট গড়বেন জেলায়, তা একপ্রকার ধরেই নিয়েছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতে প্রার্থী হবেন কারা, চূড়ান্ত করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস! জানালেন খোদ সুব্রত]
এবার মানুষের রায়ে মুর্শিদাবাদ জয় করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আভাস দেওয়ার পরই রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে বসেছে কংগ্রেস। সেই বৈঠকের পরই হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রয়োজনে সিপিএমের সঙ্গে জোট করতেও প্রস্তুত।
বিশেষ করে মুর্শিদাবাদে যে কংগ্রেস-সিপিএম হাত ধরাধরি করে চলবে এবং তাতেই যে তৃণমূলকে মুতোর জবাব দেওয়া যাবে, সে ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত কংগ্রেস। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের মানুষ যদি ভোট দিতে পারেন, তাহলে জেলা পরিষদ দখল করবে কংগ্রেসই।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস ও সিপিএম থেকে ৪২ জন সদস্যকে ভাঙিয়ে জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমান ৬৯ আসনবিশিষ্ট জেলা পরিষদে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ৪৩। অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতও দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। তবু ভোট হলে সেইসব পঞ্চায়েতে বা জেলা পরিষদের ফল কী হবে, তা নিয়ে সন্দিহান তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। কেননা অধীর-মিথ মুর্শিদাবাদ থেকে মুছে গিয়েছে কি না, তা এখনও পরিক্ষিত নয়।
সম্প্রতি বিদ্যালয় পরিচালন সমিতি ও সমবায় সমিতি নির্বাচনগুলিতে শাসকদলকে পর্যুদস্ত করেছে কংগ্রেস। সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে তারা বার্তা দিয়েছেন, আসন্ন পঞ্চায়েতেও জোট হলে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে তৃণমূল। এই জোটের আবহেই তৃণমূল কোমর বাঁধছে। তৃণমূল নিশ্চিত জেলা পরিষদ দখল করবেন তারাই। বেশিরভাগ পঞ্চায়েতও তাঁদের দখলে আসবে।
তার কারণ, এই জেলায় কংগ্রেসের কোমর ভেঙে গিয়েছে। তার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। তাই মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই রয়েছেন। সেই কারণে এখন থেকেই উন্নয়নের ডালি নিয়ে, সরকারে উন্নয়ন বার্তা নিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর দলের প্রতিটি সদস্যকে নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের দোরে দোরে যেতে, তাঁদের পাশে থাকতে। এবার মানুষের রায়ে তাঁরা মুর্শিদাবাদ দখল করতে চান।