মমতা-অভিষেকের নেতৃত্বেই লড়াই! রাজ্যে রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে 'জাগো বাংলা'য় কংগ্রেসকে বার্তা তৃণমূলের
কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে ওঠার আগে তৃণমূলকে আত্মসমীক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তার পরেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) পাল্টা আক্রমণ, শুধুমাত্র টুইটেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কংগ্রেস (Congress) । কংগ্রে
কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে ওঠার আগে তৃণমূলকে আত্মসমীক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তার পরেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) পাল্টা আক্রমণ, শুধুমাত্র টুইটেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কংগ্রেস (Congress) । কংগ্রেসের ভরসা বসে না থেকে তারা শক্তি বাড়িয়েই যাবে বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এব্যাপারে মুখপত্র জাগো বাংলার (Jago Bangla)সম্পাদকীয়তে আক্রমণ করা হয়েছে কংগ্রেসকে।
হেলদোল নেই কংগ্রেসের
লোকসভায় ২০১৪-র তুলনায় ২০১৯-এ শক্তি কমেছে কংগ্রেসের। শক্তি কমেছে তৃণমূলেরও। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তারা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। আর তার পরেই বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে ছোট রাজ্যগুলিকে সংগঠন বাড়ানোর কাজে জোর দিয়েছে। এই শক্তি বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় তৃণমূল ভাঙছে কংগ্রেসকেই। যা নিয়ে কংগ্রেসের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের তরফে তাদের মুখপত্র জাগো বাংলায় বৃহস্পতিবারে বলা হয়েছে, তারা বিজেপির বিকল্প চায়, বিজেপির বিরুদ্ধে জোট চায়, কংগ্রেসকে বলা হলেও তাদের কোনও হেলদোল নেই। তৃণমূলের সাফাই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে চলার কথা বলেননি নেত্রী। আবার তাদের জন্য সময় নষ্টও করতে রাজি নয় তারা।
কংগ্রেস টুইটেই সীমাবদ্ধ
তৃণমূলের তরফে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে তাদের নেত্রী জোটের কাঠামো তৈরির পাশাপাশি স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি এবং নীতি ও কর্মসূচির লাইন তৈরির জন্য অনুরোধ করলেও কংগ্রেস টুইটেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। জোট তৈরিতে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ তাদের নেই। তৃণমূলের অভিযোগ, ২০১৪ আর ২০১৯-এর লোকসভায় কংগ্রেস ডুবিয়েছে। কংগ্রেস নিজেদের সমস্যার জেরবার, রাজপথে নেই, আন্দোলনে নেই বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বিজেপিকে কীভাবে হারাতে হয়, তা তারা দেখিয়ে দিয়েছে। সেই কারণে তারা কংগ্রেসের ভরসায় বসে থাকতে রাজি নয়।
শক্তি বাড়াতেই থাকবে তৃণমূল
ত্রিপুরা, অসম হোক কিংবা গোয়া, তৃণমূলের প্রথম পছন্দ কংগ্রেসে ভাঙন ধরানো। যা নিয়ে প্রতিবাদ করে অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, তৃণমূল সার দেশে মাত্র ৪ শতাংশ, আর কংগ্রেস হল ২০ শতাংশ। তিনি বলেছিলেন কুড়ির সঙ্গে চার যোগ করলে ২৪ হয়। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী তা চান না। কংগ্রেসের ২০ শতাংশকেই কমাতে চান। যা করা হচ্ছে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজসে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল তাদের মুখপত্রে বলেছে, তারা তাদের শক্তি বাড়াতেই থাকবে।
লড়াই মমতা-অভিষেকের নেতৃত্বেই
কংগ্রেসে বলেছে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোট হওয়া সম্ভব নয়। যদিও তৃণমূল বিরোধী নেতৃত্বের ভার কংগ্রেসের হাতে ছাড়তে নারাজ। তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই রাজ্যে রাজ্যে শক্তি বাড়াবে তারা। পরবর্তী সময়ে জোট নিয়ে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপের সময় এলে এব্যাপারে দেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্রে।
ভারতের ওপরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মারাত্মক! বড় প্রভাব জিডিপির ওপরে, প্রকাশ রিপোর্টে