মুকুল কি একের পর এক গোল খেলেন তৃণমূলের কৌশলীর কাছে! থেমে নেই রাজনীতি
মুকুল কি একের পর এক গোল খেলেন তৃণমূলের কৌশলীর কাছে! থেমে নেই রাজনীতি
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রুখতে গোটা দেশে লকডাউন, তখন রাজ্য রাজনীতির ভোট-কৌশলীরা কী করছেন? বিশেষ করে এই করোনা ভাইরাসের হানা যখন হয়েছে দেশে, তখন বাংলায় পুরভোটের দামামা বাজতে শুরু করেছিল। ঠিক তখন করোনার হানায় স্থগিত হয়ে গিয়েছে ভোট, কিন্তু ভৌট কৌশলীরা কি বসে থাকবেন?
পিকে বনাম মুকুল এই লকডাউনে
নিশ্চয়ই নয়। ভোট কৌশলীরা এখন করোনা-সচেতনতার প্রচারে ব্যস্ত। তবে এরই মধ্যে তৃণমূলের ভোট কৌশলীর কিছু উদ্যোগ রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে। সেদিক দিয়ে তৃণমূলের চাণক্য বলে পরিচিত মুকুল রায় বিজেপিতে গিয়ে এই লকডাউন সিচুয়েশনে কোনও পৃথক ভূমিকা নিয়ে পারেননি।
মুকুল দিচ্ছেন প্রদীপ-বাতি
এই লডকডাউনে দেশবাসীর মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য ঘরের সমস্ত বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে বাড়ির বারান্দায় বেরিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ বা টর্চের আলো জ্বালানোর বার্তা দিয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে মুকুল রায় প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিতে লেকটাউন, দমদম পার্কের একাধিক জায়গায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের হাতে প্রদীপ, তেল, মোমবাতি সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রী দিনমজুর মানুষের হাতে তুলে দেন।
প্রশান্ত কিশোরের মাস্টারস্ট্রোক
এর আগে কিন্তু এমন বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন প্রশান্ত কিশোর, যা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে মাইলেজ দেবে। কিন্তু বঙ্গে বিজেপির ভোটের দায়িত্বে থাকা মুকুল রায় তেমন কোনও উদ্যোগ নিতে পারেননি, যা তাঁকে বা গেরুয়া শিবিরকে এগিয়ে দিতে পারে অনেকটা।
‘সব কি রসুই’ প্রশান্ত কিশোরের
প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের ২০-২৫টি শহরে ১০ দিন ধরে ১০ লক্ষ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার। একেবারে রান্না করা খাবার ‘সব কি রসুই' তিনি তুলে দিতে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছেন। এই রবিবার থেকেই তিনি ও তাঁর টিম আই প্যাক নেমে পড়েছে দেশের লকডাউন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে।
অতন্দ্র প্রহরী মমতা, প্রচার
আবার দলকে মাইলেজ দেওয়ার কাজ তিনি করছেন ঘরে বলে। পরিকল্পনা করছেন মমতাকে প্রচারের শীর্ষে পৌঁছে দিতে। তাঁর পরিকল্পনাতেই টিম আই প্যাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে করোনায় মোকাবিলায় অতন্দ্র প্রহরী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে নেমেছে। তা এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ফোন নম্বর সহায়তায়
এরপর মমতা করোনা মোকাবিলায় সহায়তার জন্য একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া। ওই নম্বরে ফোন করে যে কেউ তাঁর সমস্যার বলতে পারবেন। অর্থাৎ একপ্রকার ‘দিদিকে বলো'র মতোই কর্মসূচি। এই পরিকল্পনার পিছনেও প্রশান্ত কিশোরের হাত আছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
পেটে ভাত নেই, হাতে প্রদীপ
সেরকম কোনও বিশেষ উদ্যোগ নেননি মুকুল। তিনি এদিন প্রদীপ আর বাতি বিতরণ করতে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল অত্যাবশ্যকীয় পণ্যও। এখন প্রশ্ন, টানা ২১ দিনের লকডাউনের ১২ দিন না খেতে পেয়ে মরি মরি অবস্থা যখন দিন মজুর থেকে শ্রমিক সমাজের, মানুষ যখন দু'বেলা দু'মুঠো ঠিকমতো খেতে পারছে না, তখন প্রদীপ জালাবে কী করে!