মুকুল-শোভনের পথে হাঁটছেন তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট! জল্পনা বাড়াল ইডির একটি মেল
ইডির নোটিশ আসার পরই যেন বিভাজন রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠল। নারদকাণ্ডে নোটিস পাঠানো হল তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েটকেকে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হল মুকুল রায় আর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।
ইডির নোটিশ আসার পরই যেন বিভাজন রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠল। নারদকাণ্ডে নোটিস পাঠানো হল তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েটকেকে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হল মুকুল রায় আর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। না, শুধু তাঁরাই নন, নোটিশ পাঠানো হল না তৃণমূলের তিনজনের নামেই। এখানেই শুরু জল্পনার। তবে কি এই তিনজন এবার মুকুল-শোভনের পথে?
ইডি নোটিশ পাঠাল মুকুল-শোভনদের বাদ দিয়ে
মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পরই কথা উঠেছিল, কেন্দ্রীয় টিমের তদন্তের হাত থেকে বাঁচতেই তিনি বিজেপিতে পাড়ি দিয়েছেন। তারপর মুকুলকে জেরা করা হলেও তা নিয়ে বেশি শোরগোল হয়নি। শোভনেরও তাই। এবার ২০২১-এর নির্বাচনের আগে ফের ইডি ফাইল বের করেছে নারদার। সেখানে বেছে বেছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
শুধু তৃণমূল নেতাদের পাঠানো হয়েছে নোটিশ
বিজেপিতে যাওয়ার পর মুকুল রায় আর শোভন অনেকটাই ঝক্কি-ঝামেলা মুক্ত। এবার তৃণমূলের তিন বিধায়ক-সাংসদের নােম নোটিস না আসায় ইডি বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তারা মনে করছে, তৃণমূল এমন অভিযোগ আর তুলতে পারবে না যে শুধু তৃণমূল নেতাদের পাঠানো হয়েছে নোটিশ, বিজেপি নেতাদের পাঠানো হয়নি।
তৃণমূলের তিন নেতা কি তাহলে বিজেপির পথে
তারপর আরও একটি ঢিল ছুঁড়েছে ইডি, যাতে জল্পনা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের তিন নেতা কি তাহলে এবার যোগ দেবেন বিজেপিতে। ২০২১-এর আগে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করেই ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে লেলিয়ে দিয়েছে বিজেপি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তারই ফলশ্রুতিতে বেছে বেছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মুকুল রায়-শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পথেই কি ওঁরা
উল্লেখ্য, মুকুল রায়-শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দারকে নোটিশ পাঠানো হয়নি। নোটিশ গিয়েছে বাকি নয় নেতা-নেত্রীর নামে। তাতেই জল্পনার পারদ চড়েছে, তাহলে কি তাঁরাও এবার বিজেপির পথ নিতে চলেছেন।
বিজেপিতে যোগ দাও তো রক্ষা, তা না হলে...
এখন প্রশ্ন, বিজেপি কি ইডির এই নোটিশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তিন নেতাকে টোপ দিয়ে রাখল। যদি তোমরা বিজেপিতে যোগ দাও তো রক্ষা, তা না হলে ফের তোমাদের দিকে ইডির বাণ ধেয়ে আসবে! তবে তৃণমূল বিধায়ক-মন্ত্রী-সাংসদরা কী করেন, বিজেপিই বা কী অবস্থান নেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।