শুভেন্দুর কাট আউটে জোড়া ফুলের প্রতীক! তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার প্রথম ধাপ নাকি
শুভেন্দুর কাট আউটে জোড়া ফুলের প্রতীক! তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার প্রথম ধাপ নাকি
সৌগত রায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই খেজুরিতে প্রতীকবিহীন বৈঠক করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে মিছিলে তৃণমূলের কোনও প্রতীক দেখা না গেলেও মঙ্গলবার খেজুরির রাস্তায় এদিন মিলেছে শুভেন্দুর জোড়া ফুল প্রতীকের ফ্লেক্স-ব্যানার। প্রায় তিন মাস পর শুভেন্দুকে তৃণমূলের প্রতীকে দেখে স্বস্তি ফিরেছে দলের অনেক নেতা-নেত্রীর।
শুভেন্দুর কাট আউটে জোড়া ফুলের প্রতীক!
মঙ্গলবার পূর্বে মেদিনীপুরের খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারী হার্মান মু্ক্তি দিবস পালনের জন্য এক মিছিলের সূচনা করেন। সেখানে দলের পতাকা ও ব্যানারে সাজানো ছিল। তারপর তৃণমূলের খেজুরি বিধানসভা কমিটির তরফে লাগানো হয়েছেন শুভেন্দুর একাধিক কাট আউট। সেই কাট আউট ছিল জোড়া ফুল প্রতীকসমৃদ্ধ।
তৃণমূলের পতাকা ও ব্যানারে শুভেন্দুর মিছিল
শুধু মিছিলের প্রারম্ভ-স্থল নয়, মিছিল যেখানে শেষ হয়, সেখানেও ছিল তৃণমূলের পতাকা ও ব্যানার। মিছিলেন যাত্রাপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাট আউটও ছিল। ফলে এই মিছিল, পোস্টার-ব্যানার তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুভেন্দু এই মিছিলে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কোন ও স্পষ্ট ধারণা দেননি।
ভারতমাতা জিন্দাবাদ থেকে বন্দেমাতরমে শুভেন্দু
এদিন মিছিলের পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং শুভেন্দুর বক্তব্যের একাংশ ধরে খানিক আশার আলো উঁকি দিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। শুভেন্দু যেমন ভারতমাতা জিন্দাবাদ থেকে বন্দেমাতরমে ফিরেছেন, তেমনই ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন তাঁর বক্তব্যে। সবাই মিলে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাতেই তৃণমূলের আকাশে মেঘ কাটার পূর্বাভাস মিলেছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
তিনভাগে খেজুরিতে হার্মাদ মুক্তি দিবসে আসার কথা
শুভেন্দু বলেছেন, আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। এই শান্তি, এই গণতন্ত্র, এই বাক-স্বাধীনতা চিরস্থায়ী হোক। আমি ২০১০-এ এসেছিলাম, ২০১১ থেকে ২০১৯-এও এসেছিলাম। আবার ২০২০-তেও এলাম। আমি আপনাদের পাশে সর্বদা এভাবেই থাকতে চাই। কিন্তু তাঁর এই তিনভাগে খেজুরিতে হার্মাদ মুক্তি দিবসে আসার কথা উল্লেখ করা নিয়ে আবার চর্চা জল্পনা হয়েছে।
মিছিল হল, তা তৃণমূলহীন বলা যাবে না একেবারে
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সৌগত রায়ের বৈঠক হয়েছে সোমবার সন্ধ্যায়। সেই বৈঠকেও জট কাটেনি। শুভেন্দুর মানভঞ্জন হয়নি। এখনও জটিলতা রয়ে গিয়েছে। এই অবস্থা খেজুরিতে তিনি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে দিলেন। তবু যে পরিবেশে মিছিল হল, তা তৃণমূলহীন বলা যাবে না একেবারে।
সৌজন্যে তৃণমূলের খেজুরি বিধানসভা কমিটি
এই মিছিলকে অরাজনৈতিক বলা যাবে না। কেননা মিছিলের শুরুতে যে কাট আউট দেখা গিয়েছে শুভেন্দুর। সেখানে ছিল তৃণমূলের প্রতীক। সেখান লেখা- কেবলই নয় আমাদের অতিথি, তুমি উন্নয়নের কাণ্ডারি, তুমি আমাদের সুখ-দুঃখের সাথী। নিচে লেখা- সৌজন্যে তৃণমূলের খেজুরি বিধানসভা কমিটি।
যে ঘরে খেয়েছেন সেই ঘরের মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি, অমিতের বাঁকুড়া সফরকে ফের খোঁচা মমতার