দিলীপ ঘোষকে বেনজির আক্রমণ! রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে স্থান কোথায় বর্ণনা করলেন পার্থ
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বেনজির আক্রমণ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এদিন তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষের বদলে বিজেপি সভাপতি হতে পারত কোনও জন্তু-জানোয়ার।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বেনজির আক্রমণ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এদিন তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষের বদলে বিজেপি সভাপতি হতে পারত কোনও জন্তু-জানোয়ার। কারণ তাদের মধ্যে মায়া-মমতা আছে। এদিন সরস্বতী পুজোয় আশুতোষ কলেজে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্য
মঙ্গলবার প্রেসক্লাবে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদলকে আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। পার্কসার্কায় এবং শাহিনবাগের সিএএ ও এনআরসি বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, পার্কসার্কাস কিংবা শাহিনবাগে এত ঠাণ্ডায় কী করে আছেন? মরেও না কেউ। অথচ নোটবাতিলের সময় ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে কত লোক মরে গেল! দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে যায়। বিভিন্ন মহল থেকে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যেক নিন্দা করা হয়।
আক্রমণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
এদিন দিলীপ ঘোষকে অসভ্য, বর্বর বলে আক্রমণ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্কসার্কাস এবং শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার মন্তব্য অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে কেউ কি এভাবে দেশবাসীর মৃত্যু কামনা করতে পারেন।
'জন্তু, জানোয়ার মধ্যে মমতা আছে'
এরপরেই তৃণমূল মহাসচিব বলেন, দিলীপ ঘোষের বদলে কোনও জন্তু, জানোয়ারকে সভাপতি করে দেওয়া যেত। কেননা তাদের মধ্যে মায়া মমতা আছে। আর উনি যে ভাষায় কথা বলছেন, তারা সেভাষায় বলে না। তাঁর আরও প্রশ্ন যেখানে দেশবাসী মঙ্গল করার জন্য তাদের রাজনীতিতে আসা, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি কীভাবে মানুষের মৃত্যু কামনা করেন।
রাজ্যপালের অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ
রাজ্যপাল এদিন রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন নোবেল জয়ী অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্তে যুক্ত থাকতে পেরে তিনি গর্বিত। এদিন তিনি ারও বলেিন, মঙ্গলবার যারা, নজরুল মঞ্চে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নয়। তৃণমূল মহাসচিব পথা শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালের অবস্থান নিয়েই কটাক্ষ করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন, আবার একসঙ্গে চাও খেতে চান। প্রসঙ্গত সেপ্টেম্বরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাই হোক কিংবা পরের মাসে কলকাতা কার্নিভালে আলাদা বসতে দেওয়া নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। আবার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে ভাইফোঁটায় হাজির থাকতে চেয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল।