বড় ভাঙনের আশঙ্কায় দিন গুনছে তৃণমূল কংগ্রেস, লকডাউনেই বিজেপিতে যোগের সম্ভাবনা
বড় ভাঙনের আশঙ্কায় দিন গুনছে তৃণমূল, লকডাউনেই বিজেপি যোগের সম্ভাবনা প্রবল
করোনা লকডাউনে এখন জীবন-জীবিকাই ঘোর সংকটে। মানুষের প্রথম চিন্তা দিন হল কীভাবে দিন গুজরান হবে। তার মাঝেই কিন্তু বারবার রাজ্যে খবরের শিরোনামে উঠে আসছে রাজনীতি। এবার রাজনীতিতে এই কঠিন সময়েও প্রকট হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমনই সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে যে, লকডাউনেই না তৃণমূলের সংসার ভেঙে বিজেপিতে নাম লেখান নেতারা!
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জের
হুগলির গোঘাটে ১০০ দিনের কাজ শুরু হওয়ার পরই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সামনে এসেছে। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বনাম স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল বেঁধেছে। কর্তৃত্ব নিয়ে জামেল প্রাথমিকভাবে পুলিশ মদ্যস্থতায় মিটলেও ফের তা তুমুল আকার নেয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের চেহারা নেয় গন্ডগোল।
৯ জন পদত্যাগ করতে চেয়েছেন
তৃণমূলের কাছে এখন এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে দল থেকে পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ। এই গোষ্ঠাদ্বন্দ্বের পর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ ৯ জন পদত্যাগ করতে চেয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক মানস মজুমদারের কাছে।
পদত্যাগের পর দলত্যাগ!
আর এই পদত্যাগে আরও এক চিন্তা মাথাচাড়া দিয়েছে তৃণমূলের। তা হল- পদত্যাগের পর দলত্যাগ করে তাঁরা যোগ দিতে পারেন বিজেপি শিবিরে। তাতে বিজেপি আরও শক্তিশালী হবে এলাকায়। আসন্ন পুরভোট এবং বিধানসভা ভোটের আগে এই ব্যাপারে ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিতে চাইছে তৃণমূল। কোনও হঠকারিতাকে আমল দিতে চাইছে না তারা।
তৃণমূল নেতৃত্ব চিন্তায়
বিধায়ক মানস মজুমদার স্বীকার করেছেন, তিনি ৯ জনের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। তা জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছেন তিনি। এবার জেলা নেতৃত্বেই সিদ্ধান্ত নেবে। জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। দলের পর্যবেক্ষককে আমরা জানিয়েছি। নেতৃত্ব যেমন নির্দেশ দেবে, আমরা তেমনই কাজ করব।
বিজেপি যোগের গুঞ্জন
এদিকে জেলায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে, পদত্যাগের পরই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির ওই কর্মাধ্যক্ষ, সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানরা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। বিজেপির তরফ থেকেও তাঁদের আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও রটেছে এলাকায়। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এ ব্যাপারে ‘স্পিকটি নট'। তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতারাও চুপচাপ।
শ্রমিকদের নিয়ে ভাবেন না মোদী! বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে শ্রম আইন রদের পর তোপ কংগ্রেসের