শুভেন্দুকে কাপুরুষ, বেইমান আর সুবিধাবাদী বললেন কল্যাণ, দিলেন বিদ্রুপের সংজ্ঞাও
ফের শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কোনও রাখঢাক না করেই বলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী একজন কাপুরুষ, সুবিধাবাদী এবং বেইমান! ফের শুভেন্দুকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না। নিজের দলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করলেন তিনি।

বিধায়ককে ফোন করে বিজেপিতে যেতে বলেছে
কল্যাণ বলেন, এ্খন আমাদের কয়েকজন বিধায়ককে ফোন করে বিজেপিতে চলে যেতে বলেছে। এটা কিন্তু আমি মানব না। কেউ যদি নিজেকে খেলোয়াড় মনে করে তাহলে ওটে এটা মাথায় রাখতে হবে যে এই মাঠে সে একা খেলোয়াড় নয়। কল্যাণ বলেন, দলে থেকে যদি দলের অন্য জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করে, তবে বুঝতে হবে অন্য দলের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে।

কেন শুভেন্দু কাপুরুষ, বেইমান ও সুবিধাবাদী! ব্যাখ্যা
কল্যাণ নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। বলেন, তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছেন না কেন? যাঁরা নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করেন, তারা কাপুরুষ। আর শেষ পর্যন্ত যাঁরা দলের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোট করেন, তারপর নির্বাচন এলেই দলে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেন, তাঁরা বেইমান ও সুবিধাবাদী।

শুভেন্দু যখন অনেকটাই নমনীয়, বুমেরাং কল্যাণ
শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলে ধরে রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইজন্যই তিনি গোপনে দুই বর্ষীয়ান সাংসদকে দায়িত্ব দিয়েছেন শুভেন্দুর মানভঞ্জনের। কিন্তু তৃণমূলেরই আর এক সাংসদ কল্যাণ এসে শুভেন্দুর তৃণমূলের পথ কঠিন করে দিচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, শুভেন্দু যখন অনেকটাই নমনীয় হয়েছেন, তখন কল্যাণের সমালোচনা বুমেরাং হতে পারে।

বর্ষীয়ান সাংসদের সঙ্গে বৈঠকের পর নমনীয় শুভেন্দু
সম্প্রতি তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকের পর রামনগরের মেগা শো-তে বিস্ফোরক হতে দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েছেন। সোজাসাপ্টা বার্তা দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে তাড়িয়ে দেননি, আবার তিনি দল ছাড়েননি। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি এখনও তৃণমূলেরই সদস্য।

কল্যাণের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দুর বার্তা
কিন্তু তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু তাঁর নাম না করেই বলাগড়ের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, হুগলি জেলার সিপিএম নেতা অনিল বসু একটা সময় অনেক কু-মন্তব্য করেছেন, আপনারা তাঁকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন, সমর্থন করেননি। এখন আবার এ জনপ্রতিনিধি আমার সম্পর্কে কু-কথা বলছেন, আপনারা কি তা সমর্থন করবেন?