বিজেপিতে যোগ দিলেন বিদ্রোহী বিধায়ক মিহির গোস্বামী, একুশের আগে ধাক্কা তৃণমূলে
বিজেপিতে যোগ দিলেন কোচবিহারের দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। নয়াদিল্লিতে গিয়ে কৈলাশ বিজয়র্গীয়, অর্জুন সিং ও নিশীথ প্রামাণিকের হাত দের তিনি গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন। তাঁকে বিজেপিতে স্বাগত জানানো হয়। পদ্মপতাকা গ্রহণ করে তিনি বলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে আমি খুব খুশি।


বিজেপিতে যোগ দিয়ে খুশি মিহির গোস্বামী
বিজেপিতে যোগ দিয়ে মিহির গোস্বামী বলেন, তিনি এক ধর্মযুদ্ধে নেমেছেন। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত স্বাধীনতার পর থেকে। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, এমনকী তৃণমূলের ১০ বছরেও উত্তরবঙ্গে বঞ্চিতের দলে থেকে গিয়েছে। দলে অনৈতিক কাজ হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম। বিজেপিতে যোগ দিয়ে খুশি মিহির গোস্বামী।

তৃণমূলে থাকার কোনও যৌক্তিকতা নেই
মিহির গোস্বামী বলেন, আমি দু-মাস আগে তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। তারপর অনেক ভেবেছি। কিন্তু তৃণমূলে থাকার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাইনি। তাই অনেক ভেবেই বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁর নেতৃত্বেই উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের জোয়ার আসবে বলে বিশ্বাস মিহির গোস্বামীর।

মিহির গোস্বামীর দলবদল, প্রশ্নে তৃণমূল
মিহির গোস্বামী নিঃসন্দেহে একজন বড় নেতা। একুশের নির্বাচনের আগে তাঁর দলবদল তৃণমূলের কাছে বিরাট ক্ষতি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নিদেনপক্ষে চারমাস বাকি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে মিহির গোস্বামীর মতো বড় নেতার অভাব কীভাবে পূরণ করতে পারে তৃণমূল তা-ই দেখার।

একুশের আগে তৃণমূলে অশনি সংকেত
মিহির গোস্বামী এমন এক দিনে বিজেপিতে যোগ দিলেন, যেদিন শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এসবের পিছনেই সুপ্ত রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে। বিজেপি সুপরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করছে। মোট কথা ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে।
মমতার একটা বৈঠকই মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, শুভেন্দুকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে তৃণমূল