তৃণমূলে অশনি সংকেত, বিধায়কও কি ‘বিদ্রোহী’দের দলে! বিজেপি নেমে পড়েছে আসরে
তৃণমূলে অশনি সংকেত, বিধায়কও কি ‘বিদ্রোহী’দের দলে! বিজেপি নেমে পড়েছে আসরে
তৃণমূল কংগ্রেসে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। খোদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেই এককাট্টা হতে শুরু করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে বিধায়কও। আর বিজেপিও তা দেখে আসরে নেমে পড়েছে। ২০২১-এর আগে তৃণমূলের কোমর ভেঙে দিতে তারা তৈরি থাকছে। ঝোপ বুঝে কোপ মারবে বিজেপি।
সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আগুন
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুই এই বিদ্রোহের হোতা। তিনি দলের সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বার্তা দিয়েছেন দলের বিদ্রোহীদের এক করে তিনি সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আগুন জ্বেলে দেবেন। এরপরই বিধায়ক ছুটেছেন বিদ্রোহী পুর চেয়ারম্যানের বাড়িতে। তাতেই জল্পনা বিদ্রোহীদের নিয়ে দলও পাকাচ্ছেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা।
তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতার সকাশে বিজেপি
মোহন বসু কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন আসরে। বিদ্রোহী নেতাদের তিনি একজোট করতে শুরু করেন তৃণমূলে জেলা সভাপতি কিষাণকুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে আবার বিজেপি নেতারাও আসেন মোহন বসুর সঙ্গে দেখা করতে। তাতে জল্পনার পারদ চড়ে যায় আরও। জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক অঙ্ক অন্য দিকে মোড় নিতে শুরু করে।
তৃণমূল বিধায়ক বিদ্রোহী নেতার বাড়িতে
শুধু বিজেপি নেতারাই নন, মোহন বসুর সঙ্গে দখা করতে যান রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ও। তারপরেই জল্পনা শুরু হয়, তবে কি মোহন বসু দল পাকা্চছেন। তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর লোকজনকে নিয়ে তিনি ‘দল' বাড়াতে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল।
বিদ্রোহী নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বিধায়ক
তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতা মোহন বসুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, আমি মোহনবাবুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলান। তাঁকে বলেছি, দল ছাড়বেন না। আমাদের দলেরপ নেত্রীই প্রধান। কে সভাপতি আমরা বুঝি না। বিক্ষুব্ধ ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে দেখা করে আমরা কথা বলব। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তৃণমূলে থেকেই রাজনীতি, বার্তা বিদ্রোহীদের
বিধায়ক আরও বলেন, তৃণমূলে থেকেই তাঁরা রাজনীতি করবেন। দলকে শক্তিশালী করবেন। ঘরে বসেই সেই কাজ শুরু করেছেন মোহন বসু। তিনি জেলা নেতা ও ব্লক নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিদায়ী কাউন্সিলরদের সঙ্গেও তিনি কথা বলছেন। জেলা পরিষদের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যান।
লকডাউন উঠলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিদ্রোহীদের
বিদ্রোহী নেতা মোহন বসুও বলেন, যাঁরা আসছেন, তাঁরা আগেও আমার পাশে ছিলেন, এখনও আছেন। আমাদের লড়াই বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে। আমরা তাঁর অফসারণ চাই না। আমরা সকলে দিদির নেতৃত্বে লড়তে চাই। কিন্তু এই অযোগ্য সভাপতির সঙ্গে নয়। এ ব্যাপারে লকডাউন উঠলেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্নের মুখে বার্তা জেলা তৃণমূল সভাপতির
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কিষাণকুমার কল্যাণী বলেন, আমাদের দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বোচ্চ নেত্রী। তিনি যদি মনে করেন, আমাকে সরিয়ে দেবেন, সরিয়ে দিতে পারেন। আমি সরে দেলে দলের মঙ্গল হলে আমি সরে যেতে রাজি। তবে আমি মোহনবাবুর কথায় সরব না। এই অবস্থায় ঘুম ছুটেছে তৃণমূলের, অশনি সংকেত দেখছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
কোন্দল তুঙ্গে, অশনি সংকেত দেখছে তৃণমূল
সমস্ত পুরসভার মতো এই পুরসভাতেও বিদায়ী চেয়ারম্যানকে প্রশাসক করা হবে, এমনটা মনে হলেও, আদতে তা হয়নিয প্রশাসক করা হয়েছে ভাইশ চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে। তা নিয়েই বিবাদ চরমে ওঠে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় প্রকাশ্যে চলে আসে দুই নেতার বিবাদ। জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী নেতা-নেত্রীদের নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েন প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু।
দিলীপ ঘোষের পর এবার লকেট! ত্রাণকার্যে যাওয়ার পথে বাধা পুলিশে, বিক্ষোভে উত্তাল বারুইপুর