বিজেপির থাবায় বিরাট ভাঙন তৃণমূলে, ভোটের মুখে আরও এক বিধায়কের যোগ পদ্মশিবিরে
বিজেপির থাবায় বিরাট ভাঙন তৃণমূলে, ভোটের মুখে আরও এক বিধায়কের যোগ পদ্মশিবিরে
তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও এক বিধায়ক হাতছাড়া হচ্ছে তৃণমূলের। বুধবারই তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। দলে টিকিট না পাওয়াই শুধু নয়, প্রতিবেশী বিধায়ককে তাঁর কেন্দ্রে প্রার্থী করা নিয়েও দলের প্রতি তিনি ক্ষুণ্ণ। তাই শেষপর্যন্ত তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে মনস্থ করেছেন।
তৃণমূলত্যাগী বিধায়কের তালিকা যুক্ত আরও এক নাম
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পরই দলের অন্দরে ক্ষোভ-বি্ক্ষোভ দানা বাঁধে। বহু বিধায়ক দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন টিকিট না পেয়ে। গতদিনই মমতা-ঘনিষ্ঠ সোনালি গুহ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জটু লাহিড়ী, দীপেন্দু বিশ্বাস এবং শীতল সর্দার যোগ দেন বিজেপিতে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও এক নাম।
গৌরীশঙ্কর দত্তের দলবদল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে চর্চা
বুধবার বিকেলে তিনি বিজেপির কলকাতা পার্টি অফিসে এসে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিতে পারনে। নদিয়া জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের এই দলবদল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে চর্চা। তিনি শুধু টিকিট না পাওয়াকেই তৃণমূলের ত্যাগের কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন না। তাঁকে না জানিয়ে প্রার্থী বদলকে তিনি মানতে পারছেন না।
অসম্মানজনক মনে হয়েছে, এই ব্যবহার কাম্য নয়
গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করছি। সাত বছর নদিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলাম। ৩ বছর রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। এবার যখন প্রার্থী ঘোষণা হল, তখনই জানতে পারলাম আমার কেন্দ্রে পলাশিপাড়ার বিধায়ককে প্রার্থী করা হয়েছে। এই বিষয়টি আমার অসম্মানজনক মনে হয়েছে। এতদিন দল করার পর এই ব্যবহার কাম্য ছিল না।
অভিমানেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন গৌরীবাবু
২০১১ সালে তিনি তেহট্ট থেকে তৃণমূলের টিকিটে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৬-য় তিনি ওই আসন থেকে জয়ী হন। এবারও তিনি টিকিট পাবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করুক, কেন এমন ব্যবহার করল, তা বোধগম্য হচ্ছে না তাঁর। সেই অভিমানেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন গৌরীবাবু।
আরও একটা মেগা যোগদানের প্রহর গোনা শুরু
শুধু তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়কই নন, পানিহাটি ও দমদম পুরসভার একঝাঁক কাউন্সিলর যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। ভোটের মুখে তৃণমূল ভেঙে আরও একটা মেগা যোগদানের অপেক্ষায় প্রহর গোনা শুরু হয়েছে। মোট কথা, বিজেপি চাইছে ভোট পর্যন্ত এই যোগদান প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে। মানুষের মনে তৃণমূল ভাঙতে ভাঙতে শূন্য হয়ে যাবে এই ধারণা তৈরি করে দিতে চাইছে বিজেপি।
সোনার দাম হু হু করে সস্তা হচ্ছে! ১০ মার্চ কলকাতায় দর কোথায় ঠেকল