কণ্ঠে ‘বড় আশা করে এসেছি গো...’ গান, জনসংযোগে বিভোর গৌতম যেন ঘরের ছেলে
সুরেলা কণ্ঠ নয়, গানের অভ্যাসও তেমন একটা নেই। তবু জনসংযোগে বেরিয়ে তিনি গানকেই হাতিয়ার করলেন। মাইক্রোফোন হাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি গেয়ে উঠলেন- ‘বড় আশা করে এসেছি গো কাছে ডেকে লও’।
সুরেলা কণ্ঠ নয়, গানের অভ্যাসও তেমন একটা নেই। তবু জনসংযোগে বেরিয়ে তিনি গানকেই হাতিয়ার করলেন। মাইক্রোফোন হাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি গেয়ে উঠলেন- 'বড় আশা করে এসেছি গো কাছে ডেকে লও'। শ্রুতিমধুর না হলেও, এই গানই তৃণমূল কংগ্রেসের মনের কথা। সেই কথাই গান হয়ে ঝরে পড়ল বিধায়ক-মন্ত্রী গৌতম দেবের কণ্ঠে।
গ্রামে ঘুরে জনসংযোগ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দেব বেরিয়েছিলেন জনসংযোগে। সারাদিন গ্রামে চষে বেড়ানোর পর তিন রাতও কাটান এক কর্মীর বাড়িতে। শুক্রবার বিকেল থেকে তাঁর সফর শুরু হয়েছিল। শনিবার রাত পর্যন্ত তিনি কাটালেন তাঁর নিজের বিধানসভা এলাকা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিস্তীর্ণ অংশে।
‘দিদিকে বলো’য় গৌতম
‘দিদিকে বলো' কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে জনসংযোগ বার্তা তিনি যেমন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন নম্বর ও ওয়েবসাইট বিলোলেন, সেমনই এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরলেন। মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনলেন। পরামর্শ দিলেন, নিলেনও। গ্রামের মানুষের সঙ্গে বসলেন একান্ত অআলাপচারিতায়। তারপর দিদির নির্দেশ মেনে রাত কাটালেন দলীয় কর্মীর বাড়িতেই।
ভুরিভোজ সারলেন পাত পেড়ে
না, শুরু রাত কাটানোই নয়, তিনি ভুরিভোজ সারলেন একেবারে পাত পেড়ে। মাটিতে বসে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে খেলেন রাতের খাবার। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, সবজি, আলুভাজা, মাঝের ঝোল। বাঙালি খাবার তৃপ্তি ভরে খেলেন দলীয় কর্মী অনুকূল ঘটকের বাড়ি।
মাইক্রোফোন হাতে গান, কবিতা
মন্ত্রী খাওয়ার আগে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনার মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে গান শোনালেন। শোনালেন আবৃত্তিও। নিজেদের এত কাছে মন্ত্রী-বিধায়ককে পেয়ে আপ্লুত এলাকাবাসী। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন অনেকে। মন্ত্রীকে পেয়ে অনেকে অভিযোগ করলেন। মন্ত্রী দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস।
যোগায় একাত্ম মমতার মন্ত্রী
সকালে যোগা ব্যায়াম সেরে তিনি বলেন, সারা বছরই মানুষের সঙ্গে থাকি। তবে এভাবে তাঁদের সঙ্গে মিশে থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে। মন্ত্রী বিধায়কের মোড়ক থেকে বেরিয়ে একসঙ্গে মিশে যাওয়ার এই খুশি দিদির জন্যই সম্ভব হয়েছে।